Bhatpara Fraud: লোন শোধ করুন; হোয়াটসঅ্য়াপে ফোন করে হুমকি, বিপুল টাকা মিটিয়েও আতঙ্কিত ভাটপাড়ার শিক্ষক
পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছয় যে অতিষ্ট হয়ে ৬০ হাজার টাকা ফোন পে-র মাধ্যমে দিয়ে দেন তিলক রাজ ঘোষ
নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্যারাকপুরের পর একই কায়দায় প্রতারণা ভাটপাড়াতেও(Bhatpara)। প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে ঋণ পরিশোধ করার কথা বলে মেসেজ। তারপর একের পর এক হুমকি দিয়ে ফোন। বিভ্রান্ত হয়ে ৬০ হাজার টাকা মিটিয়ে দিলেন স্কুল শিক্ষক। তাতেও নিষ্কৃতি নেই। চাই আরো টাকা। আতঙ্কে পেশায় শিক্ষক তিলক রাজ ঘোষ-সহ তার গোটা পরিবার।
তিলক রাজ জানিয়েছেন, তাঁর হোয়াটসঅ্য়াপে(WhatsApp) একটি মেসেজ আসে। সেখানে বলা হয়, আপনি লোন নিয়েছেন। দু'ঘণ্টার মধ্যে লোক শোধ করতে হবে। প্রথমে বিষয়টি আমল দেননি তিলকবাবু। এরপর জানুয়ারি মাস থেকে চরম উত্পাত শুরু। একের পর এক ফোন। হোয়াটসঅ্য়াপ কল। নেট বন্ধ করে দিলেও বিভিন্ন নম্বর থেকে স্রোতের মতো ফোন আসতে শুরু করে। দাবি করা হয় লোন মোটানোর। অথচ এমন কোনও লোনই নেননি ওই শিক্ষক।
কী বলা হচ্ছে ফোন করে? তিলকবাবু বলেন, হোয়াসঅ্য়াপে ফোন করে রীতিমতো ভয় দেখানো হচ্ছে। বলা হয় ব্য়াঙ্ক ডিটেল, আধার কার্ড(Aadhar Card), ভোটার কার্ড(Voter ID) সবই রয়েছে তাদের কাছে। ওইসব নথি ব্যবহার করে তাঁকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছয় যে অতিষ্ট হয়ে ৬০ হাজার টাকা ফোন পে-র মাধ্যমে দিয়ে দেন তিলক রাজ ঘোষ।
আরও পড়ুন-গ্রাহকের অজান্তেই তার বায়োমেট্রিকের ব্যবহার! সিম জালিয়াতির বড়সড় চক্রের হদিশ
উল্লেখ্য, তিলকবাবুর কথামতো যেসব নম্বর থেকে ফোন আসছে সেইসব নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ ডিপি খুলে দেখা যাচ্ছে কোথাও পুলিসের ছবি নয়তো কোনও কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার অফিসের ছবি। এখানেই শেষ নয়। তিলকবাবু টাকা দেওয়া বন্ধ করলে তাঁর আত্মীয়স্বজন, স্কুলের সবকর্মীদেরও ফোন করে বলা হয়, তিলকবাবু লোন নিয়েছেন। তার গ্যারেন্টার আপানার। তিলকবাবু যদি টাকা না দেন তাহলে আপানাদের অ্যাকাউন্টে থেকে টাকা কেটে নেওয়া হবে। ফলে আতঙ্কিত তিলকবাবুর আত্মীয়-সহকর্মীরাও। এনিয়ে অভিযোগ হয়েছে ভাটপাড়া থানায়।
প্রসঙ্গত, একই কায়দায় ভাটপাড়াতেও এক মহিলাকে এইভাবে ব্ল্য়াকমেইল করা হয়েছিল। সেখানে টাকা দিতে না চাওয়ার তার ন্যুড ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।