নিজস্ব প্রতিবেদন: ১৩ বৈশাখ ছিল বিয়ের দিন। ক্যাটারার থেকে শুরু করে বিয়ের যাবতীয় আয়োজন-সব ছিল প্রস্তুত। বিয়ের বেনারসি, বরের পাজামা-পাঞ্জাবী, কেনা হয়ে গিয়েছে তাও। কিন্তু আচমকাই হবু বরের বাড়ি থেকে ফোন। বলা হয়, ‘ফেসবুকে তো আপনার মেয়ে শাঁখা সিঁদুর পরে অন্য এক জনের পাশে দাঁড়িয়ে। তার মানেটা কী?’ ফোনের এপ্রান্তে থাকা পাত্রীর বাড়ির লোকের তখন চোখ কপালে উঠেছে। কিছুই কূল কিনারা না করতে পেরে খবর দিলেন থানায়। ততক্ষণে অবশ্য সোনারপুরের ঘাসিয়াড়ার বাসিন্দা ওই তরুণীর বিয়ে ভেঙে গিয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে চমকে উঠেছেন পুলিসও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: স্বামী শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে অক্ষম, ট্যাক্সিচালক খুনের নেপথ্যে তাঁর স্ত্রী-ই


সম্বন্ধ করে পাশের গ্রামেরই ছেলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল ঘাসিয়াড়ার ওই তরুণীর। উভয় পক্ষই একে অপরের খোঁজখবর নিয়েছে। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে যখন পাত্রপক্ষ ওই তরুণীর নামে ফেসবুকে একটি অ্যাকাউন্ট খুঁজে পায়। সেখানে দেখা যায়, ওই তরুণী সিঁদুর, শাঁখা পলা পরে এক ব্যক্তির সঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছে। পাত্রপক্ষ বিয়ে ভেঙে দেয়। অভিযোগ, ফেসবুকের ছবি আদতে ওই তরুণীরই নয়। তরুণীর নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে সুপার ইমপোজ করে ছবি পেশ করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে সোনারপুর থানার পুলিস।


আরও পড়ুন: তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল হাওড়ার একটি ব্রিজ!


মনে যে মেয়েটা নতুন জীবনের স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছিল, বাবার হাত ধরে সে এখন দৌঁড়ছে থানায়। বাড়ির তোড়জোর সব শেষ, এখন ওই তরুণীর পরিবারের প্রত্যেকের মনে একরাশ চাপা ক্ষোভ আর চোখমুখে স্পষ্ট ঘৃণা- মনে শুধু একটাই প্রশ্ন বিয়ে ভাঙতে কারা এই নোংরা খেলা খেলল?