নিজস্ব প্রতিবেদন: বোমাবাজিতে গুরুতর জখম মন্ত্রী জাকির হোসেনের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। আজ সকাল দশটা নাগাদ তাঁর অপারেশন শুরু হওয়ার কথা জানিয়েছেন ডাক্তাররা। আজ ভোরেই কলকাতায় নিয়ে এসে  এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ারে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর দেহে প্রচুর ছোট ছোট স্প্লিনটার রয়েছে। পায়ের পেশি ও টিস্যুতে গভীর আঘাত রয়েছে। একাধিক জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অপারেশনে বেশ অনেকটাই সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা। মন্ত্রীর জ্ঞান আছে। কথাও বলতে পারছেন। প্রাথমিক ট্রমা তিনি অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। ইতিমধ্যে তাঁর এক্স রে হয়েছে। চিকিত্‍সায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি। তবে তাঁর গোড়ালিতে আঘাত রয়েছে। হাতের আঙুল কেটে ঝুলছে। ট্রমা স্পেশালিস্ট টিম তাঁর সার্জারি করবে বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই আট তলার OT তে নিয়ে যাওযা হয়েছে তাঁকে। 


আরও পড়ুন:  জাকির হোসেনের ওপর হামলার তদন্তভার নিল CID


গতরাতে নিমতিতা স্টেশনের দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ধরার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন মন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন কর্মী সমর্থকরাও। এর মাঝেই জাকিরকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। বোমার আঘাতে বাঁ পায়ে মারাত্মক জখম হন তিনি। আঘাত লাগে দেহের একাধিক অংশেও। জখম হন ২০ জনেরও বেশি। তড়িঘড়ি জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সবাইকে। সেখানেই মন্ত্রীর পায়ে ১৪টি সেলাই হয়। পরে রাতেই তাঁকে কলকাতার উদ্দেশে নিয়ে আসার বন্দোবস্ত করা হয়। 


ঘটনার পরপরই আহত বাকিদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। পরে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয় মন্ত্রী জাকির হোসেনকে। তাঁর সঙ্গেই কলকাতায় আনা হয় সুজন বিশ্বাসসহ মোট  ১০ জনকে। গুরুতর জখম আরও পাঁচ জনকে ইতিমধ্যে মুর্শিদাবাদ হাসপাতাল থেকে কলকাতায় রেফার করা হয়েছে।