নিজস্ব প্রতিবেদন : পুজোর মুখে নিম্নচাপের চোখরাঙানি। আতঙ্কে প্রমাদ গুনছে আম বাঙালি। স্যাটেলাইলট পর্যবেক্ষণের শেষ মুহূর্তের আপডেট বলছে, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে 'তিতলি'। শক্তি বাড়িয়ে তা ক্রমশ স্থলভাগের দিকে ধেয়ে আসছে। বর্তমানে কলকাতা থেকে ৭১১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পূর্বাভাস বলছে,  স্থলভাগে ঢোকার আগে 'তিতলি'র শক্তি আরও বাড়বে। অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে 'তিতলি'। তারপরই আগামী ১২ ঘণ্টায় উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে অগ্রসর হয়ে তা আছড়ে পড়বে ওড়িশা উপকূলে। প্রাথমিকভাবে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় 'তিতলি'র অভিমুখ ওড়িশা উপকূলের দিকেই রয়েছে। জানা যাচ্ছে, ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। 'তিতলি'র মোকাবিলায় কোমর বেঁধেছে রাজ্য প্রশাসন।


আরও পড়ুন, 'মাপকাঠি কী?' প্রশ্ন তুলে পুজোয় সরকারি অনুদানে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়াল হাইকোর্ট


'তিতলি'র যাত্রাপথ সম্পর্কে স্যাটেলাইট পর্যবেক্ষণ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যাচ্ছে, ওড়িশায় ঢোকার পর ঘূর্ণিঝড় 'তিতলি'র অভিমুখ ফের একবার পরিবর্তন হবে। উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে  ১২ অক্টোবর তা পশ্চিমবঙ্গের উপকূল অঞ্চলে আছড়ে পড়বে। যার প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে প্রবল দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সাবধান করছেন আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, 'তিতলি' আছড়ে পড়ার পর প্রায় ৭২ ঘণ্টা দুর্যোগ চলবে। 'তিতলি'র দাপটে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলা ও দক্ষিণবঙ্গে পুজোর মুখে বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার তুমুল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।



যা ইঙ্গিত মিলেছে এদিন সকাল থেকেই। ইতিমধ্যেই আকাশের মুখ ভার। বুধবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে শুরু হয়ে গিয়েছে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। বেলা যত বাড়বে, ততই বাড়বে বৃষ্টির দাপট। দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতেও আজ থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। মত্স্যজীবীদের জন্য জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা। গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মত্স্যজীবীদের।


আরও পড়ুন, ফ্ল্যাটে রোজ আসত প্রেমিকা! ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই খুন বাগুইআটির ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া?


যদিও আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, সপ্তমী থেকেই আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করবে। সপ্তমীর সকাল থেকে আকাশ আবার রোদ ঝলমলে হয়ে উঠবে। কিন্তু, পাশাপাশি একটা আশঙ্কা থাকছেই। আশঙ্কার প্রহর এখনই কাটছে না। ঘূর্ণিঝড় 'তিতলি' যদি কোনওভাবে অভিমুখ পরিবর্তন করে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে আছড়ে পড়ে, সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হতে পারে। তবে তার সম্ভাবনা খুবই কম বলে আশ্বস্ত করছেন আবহাওয়াবিদরা।