পরপর বাড়িতে রমরমিয়ে চলত রঙিন ব্যবসা! ওষুধের দোকানের মালিকের সূত্র ধরেই পর্দা ফাঁস
বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় এক ওষুধ ব্যবসায়ীর সৌজন্যেই ফাঁস হয় সত্য। ওই ব্যক্তি যখন এক মহিলাকে নিয়ে অচেনা লোকের বাড়িতে ঢোকেন, তখনই সন্দেহ গাঢ় হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এলাকায় কিছু মানুষের সন্দেহজনক গতিবিধি দেখে স্থানীয়দের মনে হয়েছিল সমস্যা কিছু একটা তো আছেই। অনেকেই মনে করেছিলেন, এলাকায় চুরি-ডাকাতি হতে পারে। ফলে নিজেরাই সচেতন হন। কিন্তু দিন কয়েক যাওয়ার পরই বেরিয়ে পড়ে আসল রহস্য। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় এক ওষুধ ব্যবসায়ীর সৌজন্যেই ফাঁস হয় সত্য। ওই ব্যক্তি যখন এক মহিলাকে নিয়ে অচেনা লোকের বাড়িতে ঢোকেন, তখনই সন্দেহ গাঢ় হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। পুলিসকে খবর দেন তাঁরা। পুলিস গিয়ে ওই বাড়ির দরজা খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ। রীতিমতো দুই মহিলার সঙ্গে অন্তঃরঙ্গ মুহূর্ত কাটাচ্ছেন ওই ব্যবসায়ী। শুধু একজনের বাড়িতেই নয়, বীরভূমের হাটজন বাজারের অলিতে গলিতে এইভাবে গজিয়ে উঠেছে দেহব্যবসা চক্র।
আরও পড়ুন: আচমকা বিকট শব্দ, হাওড়া স্টেশনে সাতসকালে ভয়ঙ্কর ঘটনা
সিউড়ি থানার অন্তর্গত হাটজন বাজার। আর এই হাটবাজারে পুলিশের নজর এরিয়ে বাড়ির মধ্যেই এতকদিন ধরে রমরমিয়ে চলছিল দেহ ব্যবসা। বেশ কয়েক মাস ধরে হাট বাজারের অলিতে গলিতে অচেনা ,অজানা লোকের ঘোরাফেরা চোখে পড়ে স্থানীয়দের। আর তাতেই সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের।
বুধবার রাতে এলাকার এক বাড়ির কর্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন স্থানীয়রা। তাঁর কথায় অসঙ্গতি পান তাঁরা। পরে হাতে নাতে ধরে ফেলেন ওই বাড়ির মালকিন ও আরও এক মহিলাকে। পালিয়ে যায় অপরিচিত এক যুবক। খবর দেওয়া হয় সিউড়ি থানায়।
বৃহস্পতিবার সকালে এলাকায় যায় পুলিশ। জেরায় ওই দুই মহিলা জানায়, কয়েকটি বাড়িতেই এই ধরনের দেহ ব্যবসা চলছে। রাতে নয়, দিনের বেলাতেও চলে ব্যবসা। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এদিন সকালে একটি বাড়িতে অতর্কিতে হানা দেয় পুলিশ। হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় এক মহিলা স্থানীয় এক ওষুধের দোকানের মালিক। এই ঘটনায় মোট ৩ মহিলা ও এক জন পুরুষকে আটক করেছে পুলিস। তাদেরকে জেরা করে আরও কেউ এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা চলছে।