নিজস্ব প্রতিবেদন : পুরসভার গেস্টহাউসেই রমরমিয়ে চলছিল দেহ ব্যবসার আসর। সিআইডি তল্লাশি চালাতেই 'হাতেনাতে' ধরা পড়ল ৮ জন মহিলা ও ৪ জন পুরুষ। একইসঙ্গে গেস্টহাউস থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বহু আপত্তিকর ডিভিডি, কন্ডোম, নগদ ১০ হাজার ও ১০টি মোবাইল। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হুগলীর কোন্নগরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কোন্নগর স্টেশন পৌরসভার গেস্টহাউজ 'বিশ্রামিকা'। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে দেহ ব্যবসা চলছিল। কিন্তু, এবিষয়ে বহুবার তাঁরা পৌরসভাকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এরপরই বুধবার রাতে ওই গেস্টহাউজে হানা দেয় সিআইডি-র ১০ সদস্যের একটি তদন্তকারী দল। তখনই 'হাতেনাতে' ধরা হয় অভিযুক্তদের। রাতভর তল্লাশি চালানোর পর গেস্টহাউজটি সিল করে দিয়েছে সিআইডি।


গেস্টহাউজটি স্টেশন সংলগ্ন হওয়ায় রমরমিয়ে চলছিল কারবার। তদন্তে জানা গেছে, দালাল মারফত খদ্দের জোগাড় করা হত এই গেস্টহাউজে। খদ্দেরদের কাছে প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তরুণীদের ছবি পাঠানো হত। ছবি পছন্দ হয়ে গেলেই টাকার বিনিময়ে গেস্টহাউজে চলে আসত খদ্দের। কোন্নগরের নিকটবর্তী শেওড়াফুলি, বৈদ্যবাটি, তারকেশ্বর থেকে বিভিন্ন বয়সের তরুণীরা আসত 'বিশ্রামিকা' গেস্টহাউজে।


এই ঘটনায় কোন্নগর পুরসভার চেয়ারম্যান বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, বিষয়টি সম্পর্কে তাঁরা অবগত ছিলেন না। বছর দুয়েক আগে গেস্টহাউজটি শ্যামল মণ্ডল নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি লিজ দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনা জানার পর লিজ বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি, অভিযুক্ত শ্যামল মণ্ডলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে, সিআইডিও শ্যামল মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।


আরও পড়ুন, দেনার দায়ে আত্মঘাতী দম্পতি, ঘুম থেকে উঠে দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করল ছেলে


এই ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নিতে পুলিসকে নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। যদিও স্থানীয় তৃনমূল কাউন্সিলর ও পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন দাসের দাবি, পুরসভার ভিতরে অনেকই অনৈতিক কাজ চলছে। কিন্তু কিছু বলতে গেলেই মারধর করা হয়। ফলে ভয়ে কেউ মুখ খোলে না।