নিজস্ব প্রতিবেদন:  হাসপাতাল সংলগ্ন দু'কামরা বাড়ি। বাইরে টাঙানো সাইনবোর্ড। সেখানে লেখা, রোগীর আত্মীয়দের থাকার সুযোগ রয়েছে এখানে। দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ বিধাননগর ছায়ালট সরণির ওই বাড়ি মালিককে নিয়ে আপাতভাবে এলাকার কারোর মনেই কোনও সন্দেহ ছিল না। বরং তাঁর পরোপকারী মনোভাবের জন্য প্রশংসীতই হতে তিনি। কিন্তু গোল বাধল অন্য জায়গায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: বিয়ের ফটোগ্রাফারের প্রতারণা, ২ বছর পরও মিলল না ছবি


প্রতিবেশীরা খেয়াল করলেন, দিনের বেশিরভাগ সময়ে মূলত তরুণ তরুণীরাই ওই বাড়িতে ঢুকছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই বাড়িতে আসা কোনও ‘অতিথি’রই আত্মীয় হাসপাতালে ভর্তি নন। তবে ওই বাড়ির ভিতর কী হত আদতে? উঠে আসে চাঞ্চল্যকর সত্য।


বেশ কয়েকদিন ধরেই ওই বাড়িতে অচেনা লোকেদের আনাগোনা শুরু হয়েছিল। বাইরে টাঙানোর সাইনবোর্ডের বয়ান দেখে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ হয়নি কারোর। কিন্তু দিনে দিনে ওই বাড়িতে অচেনা মাঝবয়সী তরুণ তরুণীদের আসা যাওয়া বাড়তে থাকায় সন্দেহ দানা বাঁধে প্রতিবেশীদের মনে। প্রথমটায় নিজেরাই ছানবিন করেন। পরে খবর দেওয়া হয় পুলিসে।


আরও পড়ুন: গাড়ি করে এসে হাসপাতালে ফেলে দেওয়া হল অর্ধনগ্ন মহিলার দেহ!


পুলিসি তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই বাড়িতে আদতে কোনও রোগীর আত্মীয়রাই আসতেন না। বরং ওই বাড়িতে মধুচক্রের আসর বসত। রবিবার রাতে ওই বাড়িতে হানা দিয়ে হাতেনাতে ৩ জন মহিলা ও ৪ জন পুরুষকে গ্রেফতার করে পুলিস। গ্রেফতার করা হয় ওই বাড়ির মালিক রাকেশ প্রামাণিককেও। রাকেশের এই কীর্তিতে হতবাক প্রতিবেশীরাও।