যৌন উত্তেজনা বাড়ায়! বুলেটপ্রুফ কাঁচের জারে কোটি টাকা মূল্যের গুঁড়ো সাপের বিষ উদ্ধার
এই ধরনের গুঁড়ো সাপের বিষ বহুমূল্যের মাদকদ্রব্য। যৌন উত্তেজনা বাড়ানোর ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয় গুঁড়ো বিষ।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ফ্রান্সে তৈরি বুলেটপ্রুফ কাঁচের জারবন্দি প্রায় কোটি টাকা মূল্যের সাপের বিষ উদ্ধার করল সিআইডি এবং বামনগোলা থানার পুলিস। এই ঘটনায় পাচার চক্রের দুই পান্ডাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। শুক্রবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বামনগোলা থানার পুলিস এবং সিআইডি দল পাকুয়াহাট পেট্রোল পাম্প এলাকা থেকে একটি চার চাকার গাড়ি সহ ওই দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বুলেটপ্রুফ জারবন্দি ৬০০ গ্রাম সাপের বিষ। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি বলে মনে করছে পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুই পাচারকারী নাম মহম্মদ কালাম ওরফে আলম মিঞা (৩২) এবং মসফিক আলম (২৯)। ধৃত দু'জনেরই বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের চাঁদডারা এলাকায় । গঙ্গারামপুর থেকেই গাড়ি নিয়ে সাপের বিষ পাচার করার লক্ষ্যে গোপনে এরা মালদায় আসছিল। কিন্তু বামনগোলা থানার পুলিশ এবং সিআইডি কর্তারা সাদা পাকুয়াহাট পেট্রোল পাম্পের কাছে ওই গাড়িটি আটকায়। গাড়িতে তল্লাশি চালাতেই কাঁচের জারবন্দি ৬০০ গ্রাম সাপের বিষ উদ্ধার হয়। এখন যে পাত্রে সাপের বিষ মজুত করা ছিল, সেটি একটি বুলেটপ্রুফ কাঁচের জার। সেই কাঁচের জারে একটি স্টিকারে "মেড ইন ফ্রান্স" উল্লেখ করা রয়েছে। একটি কোড নম্বরও দেওয়া রয়েছে। তার থেকেই পুলিস এবং সিআইডি কর্তাদের প্রাথমিকভাবে অনুমান, ওই জারটি সম্ভবত ফ্রান্সে তৈরি।
এত উন্নত মানের জার কীভাবে পাচারকারীদের কাছে এল এবং এরা কোথা থেকে এত বিপুল পরিমাণ সাপের বিষ জোগাড় করল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস ও সিআইডি কর্তারা। ধৃতদের জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে, তরল সাপের বিষ থেকে গুঁড়ো পাউডারের মতো তৈরি করা হয়েছে। এভাবেই তাঁদের হাতে দেওয়া হয়েছে। সীমান্তের ওপারে ওই গুঁড়ো বিষ পাচার করার পরিকল্পনা ছিল ধৃতদের। উল্লেখ্য, এই ধরনের গুঁড়ো সাপের বিষ বহুমূল্যের মাদকদ্রব্য। যার আন্তর্জাতিক চাহিদা আছে। এছাড়া এই গুঁড়ো বিষ যৌন উত্তেজনা বাড়ানোর ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়।
ধৃতদের আজ আদালতে তোলা হলে পুলিস ১০ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। এই পাচারকারীদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পাচারচক্রের যোগাযোগ আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিস। আটক করা হয়েছে গাড়িটিও। পুলিস জানিয়েছে, গত দেড় বছর আগেও একইভাবে মালদার কালিয়াচক থেকে বিপুল পরিমাণ সাপের বিষ উদ্ধার হয়েছিল। ঠিক একই কায়দায় এরকমই বুলেটপ্রুফ জারে করে পাচার করার পরিকল্পনা নিয়েছিল ধৃতরা। বারবার কেন সাপের বিষ পাচারের ক্ষেত্রে মালদা সীমান্তকে বেছে নেওয়া হচ্ছে, সে ব্যাপারেও চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু করেছে তদন্তকারী পুলিস ও সিআইডি কর্তারা।
আরও পড়ুন, বিনা মেঘে বজ্রপাত! মাধ্যমিক পাস কিশোরের মর্মান্তিক পরিণতি