অর্ণবাংশু নিয়োগী


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রায় ১৫ বছর আগে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। তারপর থেকে তাঁর ঠিকানা বাগুইআটি থানা। পরবর্তী ক্ষেত্রে ছোট থেকে বড়, সবার কাছে তিনি হয়ে ওঠেন ‘দরখাস্ত দাদু’।


বার্ধক্যের ছাপ তার চোখে মুখে। নাকের ডগায় ঝুলছে মোটা ফ্রেমের চশমা। বয়স ৮০ ছুঁই ছুঁই। ঠিকানা,  বাগুইআটি থানার চার ফুটের জীর্ণ খাটিয়ার উপর কাগজ পেতে লিখছেন দরখাস্ত।


আরও পড়ুন- ‘একা লড়বে কংগ্রেস’, রাসমণি রোডের সভায় একই সুর সোমেন-অধীর-মান্নানের


ধর্ষণ থেকে খুন, সব ধরনের দরখাস্ত লেখার ক্ষেত্রে তিনিই ভরসা। সকাল থেকেই তার আস্তানার সামনে পরে লাইন।  শুধু সমস্যার কথা শোনার পরেই চলতে শুরু করে ‘দরখাস্ত দাদু’র কলম। কিন্তু কেন এই কাজ? দরখাস্ত দাদু (শান্তি রঞ্জন দেবনাথ) বলেন, “যে কাজ করতাম সেই সময় থানায় অনেক লিখিত জমা দিতে হত। তাঁরা আমার লেখা বয়ান দেখে সন্তুষ্ট হতেন। তাই এই কাজ বেছে নেওয়া।’’


আরও পড়ুন- হাইকোর্টের গুঁতোয় বিজেপির সঙ্গে রথযাত্রা বৈঠকে বাধ্য হল রাজ্য প্রশাসন


এই কাজের জন্য মূল্যও নেন তিনি।  চুরি, ছিনতাই সংক্রান্ত হলে ৩০ টাকা।  ডাকাতি কিংবা খুনের মতো দরখাস্তের জন্য সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা। তবে কারও সমস্যা থাকলে টাকা নেন না। বাগুইআটি থানার পুলিসের একাংশের কথায়, তিনি যা লেখেন তার ওপর আর কলম চালাতে হয় না। খুব সুন্দর ভাবে লেখেন।