নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূল ছাড়লেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চিঠি দিয়েছেন তিনি। শুভেন্দু প্রসঙ্গে শীলভদ্রের বক্তব্য, তিনি সিনিয়র নেতা, 'যা করেছেন নিশ্চয় ভেবেই করেছেন। আমি আর তৃণমূলের কেউ নই, এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেখুন সেই চিঠি



উল্লেখ্য, পদত্যাগ আবহেই নিজের অফিসে থাকা মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সরিয়ে ফেলে সেই জায়গায় স্বামী বিবেকানন্দের ছবিও টাঙিয়ে ফেলেছেন তিনি। যদিও এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি। জানা গিয়েছে, সরকারের দেওয়া গাড়ি ইতিমধ্যেই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ছাড়েননি এখনও। জানিয়েছেন, 'সরকার চাইলে নিয়ে নিতে পারে।'


আরও পড়ুন:  'রাজ্যের প্রশাসনিক কাজে বাধা দিচ্ছে কেন্দ্র' টুইটে Mamataর পাশে Kejriwal


পাশাপাশি,  গতকাল রাতেই ব্যারাকপুরের বিধায়ক জানান, 'ঋণ কারণ শোধ করা যায় না। তাঁর লিভার ট্রানসফারের সময় যাঁরা টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন তাঁদের টাকা তিনি ফেরৎ দিয়ে দেবেন।' শীলভদ্র জানান, 'অনেকেই বলছেন তাঁর অসুস্থতার সময় দল তাঁকে টাকা দিয়েছেন, সরকারি অর্থে তাঁর চিকিৎসা হয়েছে। কিন্তু একথা ভিত্তিহীন। যাঁরা তাঁকে আর্থিক সাহায্য করেছেন, তাঁরা ব্যক্তিগতভাবে টাকা দিয়েছেন। দলগত টাকা দেননি। এদের মধ্যে ব্যারাকপুর পুরসভার চেয়ার পার্সন উত্তম দাস, বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, শুভেন্দু অধিকারী, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অর্জুন সিং-সহ আরও অনেকেই রয়েছেন।' শীলভদ্র দত্ত এও জানান, উত্তম দাসের ২ লক্ষ টাকা তিনি ফেরৎ দিয়েছেন। 


বেশ কিছুদিন ধরেই বেসুরো গাইছিলেন ব্যারাকপুরের এই বিধায়ক। বেশ কিছু দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তাঁর বাড়িতে তাঁর সঙ্গে দেখাও করতে যান। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না শীলভদ্র। পরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেন তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। তারপর আজ ইস্তফা দিয়ে দল ছাড়ার কথা জানালেন। যদিও এখনই বিধায়ক পদ ছাড়ছেন না তিনি।