দলে আড়াআড়ি বিভাজন, চরম হুঁশিয়ারি মন্ত্রী শিউলি সাহার!
দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বিক্ষোভ অভিমান থাকলে তা জানাতে হবে দলের ফোরামেই। আপাতত কেশপুর কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিট ভেঙে দেওয়া হচ্ছে তিন মাসের জন্য।
চম্পক দত্ত: দলে থেকে দলের বিরোধিতা বরদাস্ত করা হবে না! কেশপুর নিয়ে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি মন্ত্রী শিউলি সাহার। ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকলে জানাতে হবে দলের অন্দরেই, দাবি বিধায়িকার। সাম্প্রতিক সময়ে কেশপুরে বার বার শাসকদলের কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। অতি সম্প্রতি কেশপুর কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ঘরোয়া কোন্দল মেটাতে রবিবার রাতে মেদিনীপুরে বৈঠকে বসে শাসক শিবির। জেলা তৃণমূলের কো অর্ডিনেটর অজিত মাইতির নেতৃত্বে বৈঠক চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। সেই বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগেই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিলেন কেশপুরের বিধায়িকা তথা রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহা।
মন্ত্রীর দাবি, দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বিক্ষোভ অভিমান থাকলে তা জানাতে হবে দলের ফোরামেই। উল্লেখ্য, ব্লক সভাপতি পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরেই কেশপুরে আড়াআড়ি বিভাজন দেখা গিয়েছে শাসক শিবিরের বেশ কয়েকটি গোষ্ঠীর মধ্যে। মূলত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সমস্ত গোষ্ঠীকে এক করার লক্ষ্যেই ডাক দেওয়া হয় এই বৈঠকের। বৈঠকে অজিত মাইতির পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শিউলি সাহা ও কেশপুরের প্রাক্তন ব্লক সভাপতিরা। বৈঠকে ছিলেন তৃণমূল ছাত্রপরিষদ ও যুব তৃণমূলের নেতৃত্বও। দীর্ঘক্ষণ বৈঠক চললেও বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি শাসক শিবিরের কোনও পক্ষ-ই। তবে রাজ্যের মন্ত্রীর এমন হুঁশিয়ারি রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।
তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, আপাতত কেশপুর কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিট ভেঙে দেওয়া হচ্ছে তিন মাসের জন্য। পরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি এবং জেলা তৃণমূলের সভাপতি বসে নতুন করে ইউনিট গঠন করবে। এছাড়াও কেশপুরের অনেকগুলি অঞ্চল নিয়ে সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। খুব শীঘ্রই সেই অঞ্চলগুলি গঠন করে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি এবং সিনিয়র লিডারদেরকে সম্মান করে একসাথে চলার কথাও বলা হয়েছে। ওদিকে অবশ্য কেশপুরের তৃণমূল নেতাদেরও সাফ কথা, কোনও অঞ্চল সভাপতিকে জেলা থেকে ঠিক করে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করতে হবে, কে হবে সভাপতি? এখন দেখার কেশপুরে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের এই অস্বস্তি কাটে কিনা।