ওয়েব ডেস্ক: কোচবিহারের ডাক দুর্নীতিতে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। সব কিছু জানার পর চুপ করে ছিলেন ডাক বিভাগের আধিকারিকরা। তেমনই অভিযোগ উঠছে। ডাক আধিকারিক হরিদাস দাস দুর্নীতি সামনে আনেন। তারপরই তাঁকে সাসপেন্ড করে দেয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। ঘটনা জানার পরও থানায় অভিযোগ জানাতে ডাকঘরের সময় লেগে যায় ৪ দিন। দুর্নীতির জাল কতটা গভীরে, এখন সে প্রশ্নটাই বড় হয়ে উঠছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে ডাক কর্মী হরিদাস দাস প্রথম তাঁর উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানান, ঘুঘুমারি পোস্ট অফিস থেকে টাকা উঠে যাচ্ছে। অথচ ভাউচার নেই। এরপরই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় SBCO বিভাগের সুপারিনটেনডেন্ট হরিদাস দাসকে।


৩০শে মার্চ তাঁর বাড়িতে হাজির হন ডাক বিভাগের কয়েকজন আধিকারিক। একটি প্যাকেট গ্রহণ করতে তাঁকে জোর জবরদস্তি করা হয় বলে অভিযোগ। সেই প্যাকেট অবশ্য নেননি হরিদাস দাস। তাঁর দাবি, ওই প্যাকেটেই ছিল সাসপেন্ড লেটার। কিন্তু কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে কেন হরিদাস দাসকে শোকজ করা হল না?


শোকজ ছাড়া রাতারাতি একজন আধিকারিককে কীভাবে সাসপেন্ড করা হল? মার্চের ২য় সপ্তাহেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সামনে দুর্নীতির বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন হরিদাস দাস। কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করতে আরও ৪ দিন সময় পেরিয়ে যায়। এরপরও মার্চের ৩য় সপ্তাহের শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা থেকে পোস্ট অফিসের টাকা তুলে নেয় মূল অভিযুক্ত রাহিমুল খন্দকার।


প্রশ্ন উঠছে, সব জানার পরও কেন সেই টাকা আটকাতে পারলেন না কোচবিহারের ডাক বিভাগের আধিকারিকরা? ঘটনা সামনে আসতেই ডাকঘর দুর্নীতির মূল অভিযুক্ত রাহিমুল খন্দকার পলাতক। তাঁর বাড়িতেও হাজির হয়েছিলেন আমাদের প্রতিনিধি সুমন কল্যাণ ভদ্র। তাঁর বাবার মুখে উঠে এল, ডাকঘরের দুর্নীতি কতটা গভীর। বছর চারেক আগে ছেলেকে ডাক বিভাগের চাকরিতে ঢোকাতে দিতে হয়েছিল ঘুষ।


আর এরপরই জোরালো হচ্ছে প্রশ্নটা, ডাক বিভাগের জাল আদতে কতটা গভীরে। কোচবিহারের পুলিস এই ঘটনার তদন্তভার কলকাতার ECONOMIC CORRUPTION সেলের হাতে তুলে দিতে চায়। ডাক বিভাগ এই মামলা তুলে দিতে চায় সিবিআইয়ের হাতে। সে বিষয়ে এক প্রকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন কোচবিহারের ডাক বিভাগের আধিকারিকরা।