জলপাইগুড়ির LIC কর্মী খুনে শিউরে ওঠার মতো তথ্য
জলপাইগুড়ির LIC কর্মী খুনে শিউরে ওঠার মতো তথ্য। খুনের আগে বাড়িতেই দিনের পর দিন নির্মমভাবে বেঁধে রাখা হয় উত্তম মহান্তকে। ওই বাড়িতেই চলত স্ত্রী ও প্রেমিকের সহবাস। জেরায় জানল পুলিস।
ওয়েব ডেস্ক: জলপাইগুড়ির LIC কর্মী খুনে শিউরে ওঠার মতো তথ্য। খুনের আগে বাড়িতেই দিনের পর দিন নির্মমভাবে বেঁধে রাখা হয় উত্তম মহান্তকে। ওই বাড়িতেই চলত স্ত্রী ও প্রেমিকের সহবাস। জেরায় জানল পুলিস।
বিশ্বাসভঙ্গ, নির্মম অত্যাচার এবং জোঁকের মতো সম্পত্তি শুষে নিয়ে হত্যা। একটি সম্পর্কে এর থেকে খারাপ বোধহয় কিছু কল্পনাও করা যায় না। বাস্তবে তাই ঘটেছে উত্তম মহান্তের জীবনে।
জলপাইগুড়ির LIC এজেন্ট উত্তম মহান্ত খুনে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে তাঁর স্ত্রী লিপিকা। লিপিকার ব্যাভিচারের বহু তথ্যও হাতে এসেছে পুলিসের। কিন্তু, জেরায় ও ঘটনার পুননির্মাণে জানা গেল মর্মান্তিক সত্য।
জলপাইগুড়ির কদমতলায় উত্তম মহান্তের ভাড়া বাড়িতে তল্লাসিতে যান তদন্তকারীরা বাড়ির একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে শাড়ি ছিড়ে তৈরি করা বিভিন্ন মাপের দড়ি। জেরায় লিপিকা জানিয়েছে, ওই দড়ি দিয়ে ওই ঘরে দিনরাত বেঁধে রাখা হত উত্তম মহান্তকে। বাঁধনের জায়গায় ক্ষত তৈরি হলে মলমও লাগানো হয়, তার টিউব পেয়েছে পুলিস। অন্য একটি ঘরে একসঙ্গে থাকত অনির্বাণ ও লিপিকা।
৩ কামরার ভাড়া বাড়ির তৃতীয় ঘরটি বরাদ্দ ছিল লিপিকার মেয়ের জন্য। তবে লিপিকার প্রেমিক অনির্বাণ যে বিষ খাইয়ে উত্তম মহান্তকে হত্যা করে তার কৌটো উদ্ধার হয়নি। উত্তম মহান্তের সম্পত্তিই তাঁর মৃত্যুর কারণ। তদন্তকারীরা বলছেন লিপিকার আর তর সইছিল না। লিপিকা অনির্বাণের সঙ্গে দ্বিতীয়বার ইলোপ করার পর তার সঙ্গে আর থাকতে চাননি উত্তম মহান্ত। সেবারও স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিলেও সব সম্পত্তি মেয়েকে লিখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন উত্তম মহান্ত।
ভেটাগুড়িতে পারিবারিক ৭ কাঠা জায়গায় একটি বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করেন উত্তম মহান্ত। ৫০ লক্ষ টাকার ওই জমিতে নজর ছিল লিপিকার, বাড়ি তৈরিতে বাধা দেয় সে । তাই উত্তম ও লিপিকা কদমতলায় বাড়ি ভাড়া নেওয়ার পরেই সেখানে এসে ওঠে অনির্বাণ । এর পরিণতি উত্তম মহান্তের মর্মান্তিক মৃত্যু। তবে এবার মরল শুধু শরীরটাই। তাঁর বিশ্বাসের অপমৃত্যু তো আগেই ঘটেছে।