নিজস্ব প্রতিবেদন : বছরের প্রথম দিনই গুলির শব্দে কেঁপে উঠল খড়গপুর শহরের মালিরচর মথুরাকাটি এলাকা। গুলি করে ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খড়্গপুর টাউনে। মথুরাকাটি রেল এলাকার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বেবি রানি গ্রাউন্ডের কাছে রেল কোয়ার্টারের বাইরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় অর্জুন সোনকার নামে ওই ব্য়বসায়ীকে। বয়স ৩০ বছর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, বেবি রানি গ্রাউন্ডের কাছে একটি রেল কোয়ার্টারের ঠিক বাইরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অর্জুন সোনকারকে স্কুটির উপর লুটিয়ে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁরাই দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি করে তাঁকে নিয়ে যান খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহত অর্জুন সোনকার জমির ব্যবসা করতেন বলে জানা গিয়েছে। নিহতের বাবা জানিয়েছেন, দুপুর ৩টে নাগাদ পুজো দিয়ে বাড়ি ফেরার পর কেউ বা কারা অর্জুনকে ফোন করে ডাকে। এরপরই সটান বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান অর্জুন। তারপর সন্ধে ৬টা নাগাদ খবর পান যে 'দুর্ঘটনায়' ছেলে অর্জুন সোনকারের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে দৌড়ে এসে তাঁরা দেখেন যে, খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছে অর্জুনকে। 


কে বা কারা গুলি করেছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছড়িয়েছে। এখনও এবিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিস। যেখান থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই এলাকা থেকে একটি বুলেটের খোল উদ্ধার করেছে পুলিস। খুনে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, ব্যক্তিগত কারণে এবং ব্যবসায়িক লেনদেনের জেরেই সম্ভবত খুন করা হয়েছে অর্জুনকে। যদিও সমস্ত সম্ভাবনা-ই খতিয়ে দেখছে পুলিস।


অন্যদিকে, নিহত অর্জুন সোনকারকে তৃণমূলের কর্মী বলে দাবি করেছেন জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। এর পিছনে বিজেপির শিবম নামে এক যুবকের হাত রয়েছে বলেও দাবি করেছেন জেলা সভাপতি। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে এখনও এঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।


আরও পড়ুন, কনভয় ভেঙে 'ঢুকল' গাড়ি, বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা বাবুলের