কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: Zee  ২৪ ঘণ্টার খবরের জের। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ির ক্ষতিগ্রস্থ অংশ পর্যবেক্ষণ করে আগামীকাল থেকেই সংস্কারের কাজ শুরু হবে। জানালেন ব্যারাকপুরের পৌরপ্রশাসক উত্তম দাস। তাঁর আশ্বাস, 'বিভূতিভূষণ বাংলা ও বাঙালির গর্ব। ওনার পরিবারের দাবি খতিয়ে দেখে ওই এলাকায় মিনি অডিটোরিয়াম ও শপিং কমপ্লেক্সের কাজ এগোবে'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মৃতিবিজড়িত ব্যারাকপুরের বাড়ির গোড়ায় তৈরি হচ্ছে পুরসভার বিশাল শপিং কমপ্লেক্স। যেকারণে ফাটল ধরেছে 'পথের পাঁচালি'র স্রষ্টা বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত বাড়িতে। সম্প্রতি, এবিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন বিভূতিভূষণের পুত্রবধূ মিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই তাঁর পোস্ট ঘিরে শোরগোল পরে যায়। 


ব্যারাকপুরের এস এন ব্যানার্জি রোডে সুকান্ত সদনের পাশেই রয়েছে 'পথের পাঁচালি'র লেখক, কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি 'আরণ্যক'। বিভূতিভূষণ এই বাড়িতে আসেননি, তবে এখানেই রয়েছে 'পথের পাঁচালি'র পাণ্ডলিপি সহ তাঁর ব্যবহৃত বহু জিনিস। সাহিত্যিকের পরিবারের অভিযোগ, পৌরসভার নির্মীয়মাণ শপিংমলের কারণে বাড়ির পাঁচিল ভেঙে পড়ছে এবং বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় ফাটলও ধরেছে। দিনরাত বোরিং মেশিনের কম্পনে বাড়ি ভেঙে পড়ার আতঙ্ক তৈরি। কাজ শুরুর সময় পুরসভার সঙ্গে ক্ষতিপূরণের চুক্তি থাকলেও আজ পর্যন্ত মেলেনি ক্ষতিপূরণ। তাঁর আরও অভিযোগ, এই শপিংমল তৈরির কারণেই বিভূতিভূষণের ব্যবহার করা বহু জিনিস নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিষয়টি পুরসভাকে জানানো হলে দু-তিনটে খুঁটি লাগিয়ে দিয়ে যাওয়া হয়। তবে এখন যা অবস্থা তাতে খুঁটি সহ দোতলার অংশটি ভেঙে তাঁদের মৃত্যু অনিবার্য।