নিজস্ব প্রতিবেদন : পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি কুরবান শাহ খুনের ঘটনায় বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুললেন শুভেন্দু অধিকারী। মন্ত্রী দাবি করেছেন, এই খুনের পিছনে হাত রয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতা আনিসুর রহমানের। আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে কুরবান শাহকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এদিন পাঁশকুড়ার মাইসোরায় নিহতের বাড়িতে যান শুভেন্দু অধিকারী। দেখা করেন নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী সহ বাকি পরিবারের সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। নিহতের বাড়িতে বসেই শুভেন্দু অধিকারী তোপ দাগেন, এলাকায় পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্ত এই বিজেপি নেতাকে বেশ কয়েকবার দেখা গিয়েছে। খুনের তদারকি করে তিনি চলে যান। তিনি-ই পরিকল্পনা করে তাঁদের পঞ্চায়েত সমিতির নেতাকে খুন করিয়েছেন।


নিহতের বাড়িতে যাওয়ার আগে তমলুক জেলা হাসপাতালেও গিয়েছিলেন মন্ত্রী। সেখানে দাঁড়িয়েই তিনি বলেন, বিজেপি নেতা আনিসুর রহমান জেলে ছিলেন। কিন্তু এবার জেলে ঢুকলে আর জেল থেকে বেরতে পারবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, "মৃতদেহকে সাক্ষী রেখে বলছি, এরপর ভেতরে ঢুকলে আর বেরবে না।"


যদিও তৃণমূলের অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে পাল্টা দাবি করা হয়েছে, এই খুনের ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। এটি সম্পূর্ণ তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফল। প্রসঙ্গত, নবমীর রাতে পার্টি অফিসের ভিতরই আততায়ীর হাতে খুন হন তৃণমূল নেতা কুরবান শাহ। পাঁশকুড়ার মাইসোরায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বসেছিলেন তিনি। রাত ১০টা নাগাদ আচমকাই জনা সাতেক দুষ্কৃতী বাইকে করে এসে হামলা করে পার্টি অফিসে।


আরও পড়ুন, ৪২০ বছর ধরে কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাম প্রতিষ্ঠিত সিংহবাহিনীর আরাধনায় রত ঘরগোহালের ঘোষবাড়ি


পার্টি অফিসে ঢুকেই কুরবান শাহকে লক্ষ্য করে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে প্রায় ৫ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে দুষ্কৃতীদল। গুলিবিদ্ধ কুরবান শাহ রক্তাক্ত অবস্থায় পার্টি অফিসের ভিতরই লুটিয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতার। তারপরই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে আটক করেছে পুলিস। বাকিদের খোঁজে চলছে চিরুনি তল্লাশি। খুনের ঘটনায় তদন্ত করছে পাঁশকুড়া থানার পুলিস।