নিজস্ব প্রতিবেদন: এদিকে বেপরোয়া খাড়াই আর অন্যদিকটায় হাড়হিম করা চড়াই। আর সেই পথ জুড়ে লুকোচুরি খেলে সূর্য। শিলিগুড়ি থেকে কাঠমাণ্ডু। সুদীর্ঘ যাত্রাপথ। নিত্য কাজে, কখনও বা ছুটি কাটাতে ডেস্টিনেশন কাঠমাণ্ডু হলেও, যাতায়াতের সময় কিংবা খরচ একেবারেই পছন্দের নয়। তারপর ব্রেক জার্নির ঝক্কি। তাই সেসব দিক মাথায় রেখেই এবার নতুন পথ বাতলাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে শিলিগুড়ি-কাঠমাণ্ডু সরকারি বাস পরিষেবা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: মাসে আয় ১০ হাজার! টানাটানির সংসারে চুড়িদার-নাইটি বিক্রি করেই সমাজসেবায় রত গোবিন্দবাবু


শিলিগুড়ি থেকে কাঠমাণ্ডুর দূরত্ব ৪৮৫ কিমি। ১১ ঘণ্টার যাত্রাপথের শেষে নেপালের রাজধানীতে প্রবেশ। বাসের ভাড়া যত কম রাখা সম্ভব, সেদিকেই নজর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, ইই পরিষেবায় মোট ৬টি ভলভো বাস চালানো হবে। প্রতিদিন একটি করে বাস শিলিগুড়ি থেকে কাঠমাণ্ডু যাবে। অন্যদিকে কাঠমাণ্ডু থেকেও প্রতিদিন একটি করে বাস শিলিগুড়ি আসবে। ভাড়া জনপ্রতি ১৩৫০ টাকা। শিলিগুড়ি-কাঠমান্ডু এই বাস পরিষেবা চালু হচ্ছে এই প্রথম।  


আরও পড়ুন: গলগল করে ঝরছে রক্ত! জখম শরীরে লাঠিপেটা করে চিতাবাঘ তাড়িয়ে 'হিরো' কুমার


এতদিন পর্যন্ত কাঁকরভিটা গিয়ে বাস বা গাড়ি বদলাতে হত। অন্যদিকে সরাসরি যেতে হলে বাগডোগরা থেকে বিমানে যেতে হত। তার ভাড়াও অনেকটাই। আকাশপথে যাতায়াতের খরচ বেশি, সময়ও কম-এ কথা ঠিক! তবে, সড়কপথে শিলিগুড়ি থেকে কাঠমাণ্ডু যেতে আপনি পাবেন চোখের আরাম, প্রাণের শান্তি। খরচও সে ক্ষেত্রে অনেকটাই কম। সবমিলিয়ে সমস্যার সমাধান হতে চলেছে শীঘ্রই। এই নয়া পরিষেবা চালু হলে পর্যটনের নতুন দিগন্ত খুলবে বলে মনে করছে সরকার, পর্যটক দু-তরফই। পথের পরতে পরতে পাহাড়ি উষ্ণতা পেতে শিলিগুড়ি বাস টার্মিনাস থেকে আপনিও বেরিয়ে পড়তে পারেন কাঠমাণ্ডুর উদ্দেশে। ১ ফেব্রুয়ারি শুরু  নতুন পথচলা। কি যাবেন নাকি হারিয়ে অনন্তসুন্দর অজানার আনন্দ নিতে!