নারায়ণ সিংহ রায়: জলকষ্টে ভুগছিলেন নকশাল নেতা কানু সান্যালের গ্রামের মানুষজন। জলের জন্য তাঁরা হাইকোর্টেও গিয়েছিলেন। গতকালই উত্তরবঙ্গে গিয়ে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কানে আসে বিষয়টি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি নির্দেশ দেন সেবদল্লা জোত গ্রামে জল পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই আশ্বাসের ২ ঘণ্টার মধ্যে জল পৌঁছে গেল গ্রামে। শিলিগুড়ি পুর নিগমের তরফে দেওয়া হল জলের ট্যাঙ্কার। এতে খুশি গ্রামবাসী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-৫ রাজ্যে ভোটের ফলপ্রকাশের পর বিরোধীদের বৈঠকে নেই তৃণমূল!


জলের নিদারুন কষ্ট। জলের ব্যবস্থা করা হোক। এই দাবি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন গ্রামবাসী। জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে উঠেছিল সেই মামলা। মানুষের অভিযোগ শুনতে আসনে ছেড়ে নেমে এসেছিলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। জলের সমস্যার কথা শুনে বিচারপতি নির্দেশ দেন ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে কানু সান্যালের গ্রাম সেবদল্লা জোতে পিএইচই-র জল পৌঁছে দিতে হবে। তার আগেই আপাতত সেবদল্লা জোতে পৌঁছে গেল ট্যাঙ্কারের জল।


বুধবার উত্তরবঙ্গে পা দেওয়ার পর তাঁকে বিষয়টি জানান শিলিগুডির মেয়র গৌতম দেব। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সেবদল্লা জোতে জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য পিএইচই কাজ করছে। প্রত্যেকের বাড়িতে জল পৌঁছে যাবে। তবে যতক্ষণ জলের লাইনের কাজ চলবে ততদিন শিলিগুড়ি পুরনিগমের জলের গাড়ি সেখানে পৌঁছে যাবে।


গ্রামের গৃহবধূ সুবন্তী খালকো বলেন, গ্রামে জল নেই। জলের জন্য হাইকোর্ট পর্যন্ত গিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী বলার ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে গ্রামে জল চলে এল। কিন্তু এতদিন ধরে বিভিন্ন দফতরে ঘুরেও কোন লাভ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী এমন তৎপরতার জন্য আমরা খুব খুশি। তবে এখন এক জায়গায় জল এসেছে। ফলে জল নিতে গিয়ে গোলমাল হচ্ছে। কিন্তু জল চাই ঘরে ঘরে। তবুও এইটুকুর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)