নিজস্ব প্রতিবেদন : ভাইকে সঙ্গে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিল দিদি। ভাইয়ের বয়স ৭। আর দিদিও বয়সে খুব বড় নয়। সবে ১২ বছর বয়স দিদির। তবে ছোট বয়সেই অনেকটা দায়িত্ব নিয়ে ভাইকে সঙ্গে নিয়ে একসঙ্গে স্কুলে যাচ্ছিল। কিন্তু পরিণতি হল মর্মান্তিক। স্কুলে যাওয়ার পথেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দিদি, ভাই দুজনেরই। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, সাতসকালে মুখোমুখি 'মৃত্যুদূত'! লরি ঢুকল দোকানে, তারপরের ঘটনা নাটকীয়


স্থানীয় ব্যবসায়ী মোবারেক শেখের সন্তান সুহানা ও জাহিদ। আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত দিদি সুহানা খাতুন। আর ভাই জাহিদ শেখও পড়ত ওই একই স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে। প্রতিদিন সকাল ১০টার সময় স্কুলের জন্য ভাইকে নিয়ে বেরত সুহানা। এদিনও ঘড়ির কাঁটা ধরে ঠিক ১০টা নাগাদ ভাই জাহিদকে স্কুলের জন্য বেরিয়ে পড়ে দিদি। রোজকার মতো এদিনও দু' ভাইবোন একসঙ্গে সাইকেল করে স্কুলে যাওয়ার জন্য রওনা দেয়।


আরও পড়ুন, যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে অত্যাচার! গৃহবধূর 'গর্ভধারণ সমস্যা' মীমাংসায় বসল সালিশি সভা


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সেইসময় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল একটি ক্রেন। একটি বিকল বাসকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল ক্রেনটি। সুহানা-জাহিদের সাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে বাসটির। ধাক্কা লাগার পরই সাইকেল থেকে রাস্তার উপর পড়ে যায় দু ভাই-বোন। আর তখনই বিকল বাসের পিছনের চাকা সুহানা ও জাহিদের মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। ঘাতক বাসের চাকা পিষে দেয় দু ভাই-বোনকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছোট্ট সুহানা ও জাহিদের।  



আরও পড়ুন,গভীর রাতে স্ত্রীকে ধর্ষণ বর্ধমান মেডিক্যালে! ঘুম ভেঙে স্বামী দেখলেন সেদৃশ্য


এই ঘটনার পরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত জনতা ক্রেন সহ বাসটিকে আটক করে ক্ষোভে ফেটে পড়ে। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। পুলিস আসার পর, পুলিসকে ঘিরে ধরেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। পরে দেহ দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিস। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় পুলিস মোতায়েন রয়েছে।