নিজস্ব প্রতিবেদন: দেখতে দেখতে বছর ঘুরে গেল। গতবার ভাইফোঁটায় বাড়িতে প্রদীপ জ্বলেনি। ছিল না ধান-দুব্বো-চন্দনের আয়োজন। লাদাখে শহিদ রাজেশ ওঁরাও-র সমাধিক্ষেত্রে গিয়ে এবার রাখি পরালেন বোন শকুন্তলা। বললেন, 'দাদা-কে খুব মিস করছি। যেভাবে রাখি পড়াতাম, সমাধিক্ষেত্রে সেভাবেই রাখি পড়িয়ে এলাম'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেশরক্ষায় প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। গত বছর লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে সেনা সংঘর্ষে শহিদ হন বীরভূমের মহম্মবাজারে রাজেশ ওঁরাও। তা গর্ব আছে, তৃপ্তি আছে। কিন্তু শূন্যতা যে আর পূরণ হওয়ার নয়! শোক এখনও সামলে উঠতে পারেননি শকুন্তলা ওঁরাও। বললেন, 'প্রতি বছর রাখি উৎসবের সময়ে বাড়িতে আসত। আজকের দিনে দাদাকে খুব মিস করছি'। মৃত্যুর ২ দিন পর রাজেশের দেহ আনা হয়েছিল গ্রামে। গান স্যালুটে শেষশ্রদ্ধা জানানোর পর শহীদকে গ্রামেই সমাধিস্থ করেছেন পরিবারের লোকেরা। সমাধিস্থলে বসেছে রাজেশ ওঁরা-র মূর্তি।


আরও পড়ুন: Saltora: গুরুতর অসুস্থ বিধায়ক চন্দনা বাউরির 'দ্বিতীয় স্বামী', ভর্তি হাসপাতালে


এদিন সকালে প্রদীপ, ধুপ আর রাখি নিয়ে দাদার সমাধিস্থলে যান শকুন্তলা। রাজেশ ওঁরা-র মূর্তিতে রাখি পরিয়ে দেন তিনি। প্রত্যেক বছর মামারাড়ি ভাইফোঁটার উৎসব হত। পুজোর ছুটিতে বাড়িতে আসতেন রাজেশ। ভাইফোঁটা কাটিয়ে ফিরে যেতেন কর্মস্থলে। রাজেশের মৃত্যুর পর গতবার কোনও আয়োজন ছিল না। দিনভর বাড়িতে মনখারাপ করে বসেছিলেন শকুন্তলা। সেই মন খারাপ এ জীবন আর ঘুচবে না! তবুও শহিদের সমাধিস্থলে রাখি পরিয়ে হয়তো কিছুটা শান্তি পেলেন তিনি।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)