Bangladesh Quota Movement: ভয়ংকর পরিস্থিত; কেউ নিরাপদ নয়, বাংলাদেশ থেকে ফিরে বলছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা
Bangladesh Quota Movement: বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা ফিরে বলেন, বাংলাদেশে আন্দোলনের জেরে চোখের সামনে গুলি চলতে দেখেছি, এমনকি বহুতল বিল্ডিংএ আগুলে জ্বলতেও দেখেছেন
অনুপ দাস: চাকরিতে কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। হস্টেল ছেলে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছে পড়ুয়াদের। দেশের অধিকাংশ জেলায় চলছে গোলমাল, সংঘর্ষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনা নামিয়েছে হাসিনা সরকার। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বাংলাদেশ থেকে ফিরে আসছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা। এদের অধিকাংশই ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া।
আরও পড়ুন-অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ! সীমান্তে যাত্রী প্রবেশে ভাটা, ক্ষতির মুখে একাধিক ব্যবসায়ী...
শনিবার ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত গেদে দিয়ে বাংলাদেশের যাত্রী প্রবেশ একেবারে বন্ধ বললেই চলে। ভারতীয়রা ফিরতে পারছেন শুধু। যার ফলে সমস্যায় পড়েছে সীমান্তের ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ থেকে একে একে ফিরে আসছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা। ভারত থেকেও বাড়ির উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের ফিরছেন কেউ কেউ। এদিন সেই ছবিই দেখা গেল গেদে সীমান্তে।
বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা ফিরে বলেন, বাংলাদেশে আন্দোলনের জেরে চোখের সামনে গুলি চলতে দেখেছি, এমনকি বহুতল বিল্ডিংএ আগুলে জ্বলতেও দেখেছেন। এমনই ওই অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন। অনেক কষ্টে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভারতে ফিরছেন তারা ।তবে কবে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় সেদিকেই তাকিয়ে তাঁরা। বাংলাদেশে থেকে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের সাথে কথা বলতে গেলেও তারা মুখ খুলছেন না। আবার কিছু বললেও তারা নিজেদের নাম বলছে না ভয়ে আতঙ্কে।
বাংলাদেশ থেকে গেদে সীমান্ত পার করে ভারতে এসে ঢুকেছেন মুম্বইয়ের বাসিন্দা আদনান হাসনাইন। ডাক্তারি পড়ুয়া এই যুবক মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। তিনি বলেন, হস্টেল থেকে বাসস্ট্যান্ড আসার কথা আমাদের। কিন্তু গোটা রাস্তা আন্দোলনকারীতে ভর্তি ছিল। আমরা অটোয় ছিলাম। আমাদের অটোয় পাথর ছুঁড়ছিল। কোনও রকমে এসেছি। ঢাকার পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে। বোমা পড়ছে, টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটছে। ভারতীয় দূতাবাসও পড়ুয়াদের সাহায্য করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডাক্তারি পড়ুয়া বলেন, প্রবল গোলমাল চলছে। সন্ধে ছটার সময়ে বেরিয়েছিলাম। বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত যেতে পারিনি। হস্টেলের সামনেই ফায়ারিং হচ্ছিল। বাধ্য় হয়েইউ হস্টেলে ফিরে গেলাম। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হল ফের বেরিয়ে পড়ি। এরপর রাত এগারোটার পর বাস ছাড়ে গাবতলি বাসস্ট্যান্ড থেকে। ওখানকার পরিস্থিতি খুব খারাপ। যে কোনও সময় কিছু হয়ে যেতে পারে। এখানে ফিরে স্বস্তি বোধ করছি। ওখানে কেউ সেফ নয়।
এদিকে নবান্ন সূত্রে খবর, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের দাবি, প্রচুর ভারতীয় নাগরিক দেশে ফিরতে চেয়ে আবেদন করছেন। তাদের দ্রুত ফেরাতে উদ্যোগ নিক বিদেশ মন্ত্রক। মুখ্যসচিব নিজে যোগাযোগ রাখছেন। দিল্লিতে রেসিডেনসিয়াল কমিশনার এর মাধ্যমেও যোগাযোগ চলছে। বাংলাদেশ হাইকমিশনে অনেকেই সরাসরি আবেদন করছেন। হাইকমিশনের সঙ্গেও কথা হয়েছে নবান্নের। অনেক ভারতীয় বিশেষ করে বাঙালিদের আত্মীয়স্বজন বাংলাদেশে থাকেন। তাদের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ নাগরিকরা। বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার ।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)