ওয়েব ডেস্ক: খুচরো সমস্যা চলছেই। শহর থেকে গ্রাম।  ভূতের আতঙ্কের মতোই তাড়া করে বেড়াচ্ছে কয়েন আতঙ্ক। খুচরোর লেনদেন বন্ধ। মেদিনীপুর থেকে নদিয়া। সর্বত্রই এক ছবি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ব্যাঙ্ক যদি কয়েন দেয়, তাহলে তো কয়েন নেবেও।  নাহলে এত কয়েন নিয়ে তাঁরা যাবেন কোথায়! এমনটাই বক্তব্য নদিয়ার গাংনাপুর রেলবাজার ব্যবসায়ী সমিতির। বারবার তাঁরা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার খুচরো নিয়ে জেরবার তাঁরা। সোমবার তাই ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে স্মারকলিপি দিলেন তাঁরা। 


যদিও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, খুচরো নেওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। কেশপুরের মুগবাসন। এখানেই প্রায় ২৫টি বেকারি। এলাকায় হকারের সংখ্যা একশোরও বেশি। তাঁদের খুচরোর বিনিময়ে কারবার করতে হয়। অথচ ব্যাঙ্ক খুচরো নিতে রাজি নয়। প্রতিবাদে তাই সোমবার কেশপুর-চন্দ্রকোণা ৭ নম্বর রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন ব্যবসায়ীরা। 



খুচরো সমস্যা কারণ এই গুলোই: 


-নোট বাতিল পর্যায়ে  সঙ্কট মেটাতে বাজারে প্রচুর খুচরোর যোগান দিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক


-বছর দুয়েক আগে খুচরো সঙ্কট মেটাতেও RBI বিপুল পরিমান খুচরো বাজারে ছাড়ে


-বর্তমানে  RBI কয়েন জমা নেওয়ার কাজ বন্ধ রেখেছে


-ব্যাঙ্কগুলিকে RBI এর নির্দেশ অ্যাকাউন্ট পিছু ১০০০ টাকার বেশি কয়েন নেওয়া যাবে না


-মফস্বল বা গ্রামের বহু ব্যাঙ্ক খুচরো জমা নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে


-তারফলেই বাজারে চাহিদার চেয়ে খুচরোর জোগান বেড়েছে বেশকয়েক গুণ


-ব্যাঙ্ক খুচরো নিতে রাজি না হওয়ায় মহাজনরাও খুচরো নিচ্ছে না



ফলে খুচরো লেনদেনের বৃত্ত অসম্পূর্ণই থেকে যাচ্ছে। ব্যাঙ্ক খুচরো নিতে না চাওয়া কেউই খুচরোর বোঝা বাড়াতেও চাইছেন না।