Snana Yatra in Mahesh: চলছে ৬২৭ বছর ধরে! দেড় মন দুধ আর ২৮ ঘড়া গঙ্গাজলে স্নান জগন্নাথের...
Snana Yatra in Mahesh: প্রায় ৬৩০ বছর ধরে চলমান ইতিহাসের সাক্ষী মাহেশের রথযাত্রা। রীতি অনুযায়ী রথযাত্রার আগে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব হয়। মাহেশেও হয়েছে। যথারীতি নিষ্ঠা, ঐতিহ্যের সঙ্গে।
বিধান সরকার: মাহেশে সম্পন্ন হল স্নানযাত্রা। ২৮ ঘড়া গঙ্গাজল আর দেড় মন দুধে স্নান করলেন জগন্নাথ। আগামী ২০ জুন রথযাত্রা উৎসব। রীতি অনুযায়ী রথযাত্রার আগে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব হয়। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন হয় চন্দন উৎসব। চন্দন উৎসবের ৪২ দিনের মাথায় আসে স্নানযাত্রা। মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সামনে স্নানপিঁড়ির মাঠে ধূমধাম করে হয় স্নানযাত্রা উৎসব। বহু ভক্তের সমাগম হয়। আজ, রবিবার সকালে জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রার বিগ্রহ জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহের সামনে বের করা হয়। পুজোপাঠের পর স্নানপিঁড়ির মঞ্চে হয় স্নানযাত্রা।
আরও পড়ুন: Malbazar: ভয়ংকর এই তাপপ্রবাহ সহ্য করতে পারছে না বন্যরাও! ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে...
দেড় মন দুধ আর আঠাশ ঘড়া গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করানো হয় জগন্নাথদেব বলরাম ও সুভদ্রাকে। স্নানের পর জগন্নাথের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। এই সময়ে শুয়ে পড়বেন জগতের নাথ। এই সময়ে হয় তাঁর অঙ্গরাগ। ভেষজ রঙ দিয়ে জগন্নাথদেবকে রাঙানো হয়।গর্ভগৃহের দরজা বন্ধ থাকে। কবিরাজের পাঁচন খেয়ে জ্বর ছাড়লে হয় নবযৌবন উৎসব। পরদিন রথে চেপে মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা।
প্রতি বছর জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উপলক্ষে এখানে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয়। ৬২৭ বছর ধরে চলমান ইতিহাসের সাক্ষী এই মাহেশের রথযাত্রা।
মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত অধিকারী বলেন, পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী গণপতি ভট্ট ছিলেন গণেশের উপাসক। তিনি পুরী নীলাচলে গণপতি দর্শনের উদ্দশ্যে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে গণেশকে দেখতে না পেয়ে মনোদুঃখে ফেরার পথ ধরেন। সে সময়ে জগন্নাথ ব্রাহ্মণবেশে তাঁর সামনে আসেন। তাঁকে বলেন স্নানবেদীতে যেতে। সেখানে পৌঁছেই অবাক গণপতি ভট্ট। সেখানে জগন্নাথকে গজবেশে দেখতে পান গণপতি। স্নানযাত্রার দিন তাই জগন্নাথদেব গজবেশই ধারণ করেন।