বিধান সরকার: মাহেশে সম্পন্ন হল স্নানযাত্রা। ২৮ ঘড়া গঙ্গাজল আর দেড় মন দুধে স্নান করলেন জগন্নাথ। আগামী ২০ জুন রথযাত্রা উৎসব। রীতি অনুযায়ী রথযাত্রার আগে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব হয়। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন হয় চন্দন উৎসব। চন্দন উৎসবের ৪২ দিনের মাথায় আসে স্নানযাত্রা। মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সামনে স্নানপিঁড়ির মাঠে ধূমধাম করে হয় স্নানযাত্রা উৎসব। বহু ভক্তের সমাগম হয়। আজ, রবিবার সকালে জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রার বিগ্রহ জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহের সামনে বের করা হয়। পুজোপাঠের পর স্নানপিঁড়ির মঞ্চে হয় স্নানযাত্রা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Malbazar: ভয়ংকর এই তাপপ্রবাহ সহ্য করতে পারছে না বন্যরাও! ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে...


দেড় মন দুধ আর আঠাশ ঘড়া গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করানো হয় জগন্নাথদেব বলরাম ও সুভদ্রাকে। স্নানের পর জগন্নাথের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। এই সময়ে শুয়ে পড়বেন জগতের নাথ। এই সময়ে হয় তাঁর অঙ্গরাগ। ভেষজ রঙ দিয়ে জগন্নাথদেবকে রাঙানো হয়।গর্ভগৃহের দরজা বন্ধ থাকে। কবিরাজের পাঁচন খেয়ে জ্বর ছাড়লে হয় নবযৌবন উৎসব। পরদিন রথে চেপে মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা।


আরও পড়ুন: Coromandel Express Accident:: বালসোর থেকে দুর্ঘটনাগ্রস্থ যাত্রীদের নিয়ে ফিরল ২ স্পেশাল ট্রেন, রেল সুরক্ষা নিয়ে সরব ফিরহাদ


প্রতি বছর জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উপলক্ষে এখানে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয়। ৬২৭ বছর ধরে চলমান ইতিহাসের সাক্ষী এই মাহেশের রথযাত্রা।



মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত অধিকারী বলেন, পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী গণপতি ভট্ট ছিলেন গণেশের উপাসক। তিনি পুরী নীলাচলে গণপতি দর্শনের উদ্দশ্যে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে গণেশকে দেখতে না পেয়ে মনোদুঃখে ফেরার পথ ধরেন। সে সময়ে জগন্নাথ ব্রাহ্মণবেশে তাঁর সামনে আসেন। তাঁকে বলেন স্নানবেদীতে যেতে। সেখানে পৌঁছেই অবাক গণপতি ভট্ট। সেখানে জগন্নাথকে গজবেশে দেখতে পান গণপতি। স্নানযাত্রার দিন তাই জগন্নাথদেব গজবেশই ধারণ করেন।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)