বিয়ে ভাঙার পর থেকেই নিঃসঙ্গতায় ভুগত অমিত, কিন্তু বাবা-মাকে খুন কেন? সোদপুর হত্যাকাণ্ডে ধোঁয়াশায় পুলিস
সোদপুরের নাটাগড়ের বাসিন্দা অমিত সাহার বিয়ে হয়েছিল পাঁচ বছর আগে। দুবছর বিয়ে টেকার পর স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় অমিতের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাবা-মাকে কেন পিটিয়ে খুন করল একমাত্র ছেলে অমিত? সোদপুরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের রহস্য এখনও ভেদ করতে পারেনি পুলিস।
জেরায় জানা গিয়েছে, সোদপুরের নাটাগড়ের বাসিন্দা অমিত সাহার বিয়ে হয়েছিল পাঁচ বছর আগে। দুবছর বিয়ে টেকার পর স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় অমিতের। তারপর থেকেই চুপচাপ হয়ে যায় সে। পাড়া প্রতিবেশী তো দূরের কথা, বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গেও খুব বেশি কথা বলত না অমিত।
সন্তানকে চুরি গিয়েছে, কেবল অনুমানেই চোর ধরতে ট্রেন থেকে ঝাঁপ গৃহবধূর!
অমিতের বাবা সুনীল সাহা চানাচুর কোম্পানিতে কাজ করতেন। মা বাড়িতে সেলাই করতেন। অমিত একটি কোম্পানিতে সেলসের কাজ করতেন। সাহা বাড়িতে ঠিক কী নিয়ে অশান্তি ছিল, তা বলতে পারছেন না প্রতিবেশীরা। তবে এদিনের হত্যাকাণ্ডের পর ঘরে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে আক্রোশের ছাপ স্পষ্ট। একবার নয়, একাধিকবার দরজার ডাসা দিয়ে বাবা-মায়ের মাথায় আঘাত করেছে অমিত। ঘরের মেঝেতে চাপ চাপ রক্ত, ছড়িয়ে রয়েছে ভারী বস্তুর আঘাতে দম্পতির মাথার থেঁতলে যাওয়া অংশ।
কেন তৈরি হল এই আক্রোশ? তা কোনওভাবেই বুঝে উঠতে পারছেন না অমিতের প্রতিবেশীরা। আপাতত সেই সূত্রেরই খোঁজে পুলিস। অমিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে সোদপুরের নাটাগড়ে বাবা সুনীল সাহা ও মা শেফালিকে ঘুমন্ত অবস্থায় মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে খুনের অভিযোগ ওঠে ছেলে অমিতের বিরুদ্ধে। অমিতকে ঘোলা থানার পুলিসের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা।