নিজস্ব প্রতিবেদন:  তাকে যে খুন করা হবে, সেকথা আগেই আঁচ করতে পেরেছিল রামুয়া। তাই নভেম্বরে সোদপুরের অমারবতির ফ্ল্যাটে থাকার সময় থেকেই আত্মরক্ষার্থে একটি নাইন এম এম পিস্তল সঙ্গে রেখেছিল সে। তবুও শেষ রক্ষা হল না। রবিবার রাতে যখন কলিং বেলটা বেজে উঠেছিল, তখন পিস্তলটি হাতে নিয়েই এগিয়ে এসেছিল রামুয়া। দুষ্কৃতীদের দিকে তাকও করেছিল, কিন্তু পিস্তল কক করতেই তা রামুয়ার হাত থেকে কেড়ে নিয়ে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালিয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। নিজের পিস্তলের গুলিতেই খুন হতে হয়েছে রামুয়া ওরফে কুখ্যাত দুষ্কৃতী রাম মূর্তি দিয়ার। সোদপুর শুটআউটকাণ্ডে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: এক যুবকের মাথা কেটে ফুটবল খেলেছিল নিহত রামুয়া, সোদপুর শুটআউটকাণ্ডে ভয়ঙ্কর তথ্য


তদন্তে জানা গিয়েছে, পুলিসের খাতায় মোস্ট ওয়ান্টেড রাম মূর্তি দিয়ার দক্ষিণ ভারতীয়। শিবপুর ও হাওড়ায় তোলাবাজিতে অভিযুক্ত সে। রামুয়ার বিরুদ্ধে রয়েছে খুন তোলাবাজি সহ একাধিক মামলা রয়েছে। কয়েকবছর এক যুবকের মাথা কেটে খুন করে ‘ফুটবল’ বানিয়ে খেলেছিল রামুয়া। এরপর থেকেই এলাকার ত্রাস হয়ে ওঠে এই কুখ্যাত দুষ্কৃতী। জমি সংক্রান্ত ব্যবসায় তোলাবাজি নিয়ে রীতিমতো সিন্ডিকেট চালাত এই অপরাধী। রামুয়ার ভয়ে কাঁপত এলাকার প্রোমোটাররা।  তোলাবাজির টাকা না পেলেই প্রোমোটারদের কাছে আসত খুনের হুমকি।বছরখানেক এক যুবককে খুন করার অভিযোগ রয়েছে রামুয়ার বিরুদ্ধে।  ১৬ নভেম্বরেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে সে। এরপর সোদপুরের ওই ফ্ল্যাটে এসে স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে থাকতে শুরু করে।


আরও পড়ুন: নৃশংস! এনআরএস-এ মা সহ কুকুর ছানাদের পিটিয়ে খুন, দেখুন এক্সক্লুসিভ ফুটেজ


মনে করা হচ্ছে অপরাধ জগত থেকে বেয়িয়ে সংসার করতে চেয়েছিল রামুয়া। ব্যাবসায় মন দিয়েছিল। তার জেরেই এই খুন। তবে পুরনো শত্রুতার জেরে বদলা নিতেও এই খুন হয়ে থাকতে পারে। এই বিষয়টিও ভাবাচ্ছে পুলিসকে।


প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে সোদপুরের অমরাবতীর দক্ষিণায়নের একটি ফ্ল্যাটে  খুন হয় রামুয়া। দশ বারো জন দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢুকে কলিং বেল বাজিয়ে স্ত্রী ও সন্তানের সামনে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে রামুয়াকে গুলি করে বলে অভিযোগ। পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।