নিজস্ব প্রতিবেদন:  প্রতিবেশী এক জন কুখ্যাত দুষ্কৃতী, পুলিসের খাতায় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ সে। তবুও রামুয়া সম্পর্কে কিচ্ছু টের পাননি সোদপুরের অমরাবতির দক্ষিণায়নের বাসিন্দারা। প্রতিবেশীদের কথায়, রাম মূর্তি দিয়ারের পরিবার  আপাত নিরীহ, শান্ত।  সোদপুর শুটআউটকাণ্ডে প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথায় উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রথমে এই ঘটনার বিষয়ে মুখ খুলতে চাইছিলেন না প্রতিবেশীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের কথায় উঠে আসতে থাকে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। রবিবার সকাল থেকে এলাকায় অচেনা কয়েকজনকে ইতঃস্তত, উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছিল। বেশ কয়েকবার ওই গলিতে ঢুকছে তারা। কিন্তু রবিবার ছুটির দিনে বাইরের লোক কেউ এসেছে ভেবে প্রথমটায় বিশেষ আমল দেননি স্থানীয়রা। কিন্তু রাতের বীভত্স ঘটনার পর এসবই ভাবাচ্ছে তাদের। গত নভেম্বর থেকে এই ফ্ল্যাটে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে থাকতে শুরু করে রামুয়া। এলাকায় কারোর সঙ্গেই বিশেষ মেলামেশা করত না সে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথাবার্তা কম বলে তার স্ত্রীও।  রামমূর্তি দিয়ার সম্পর্কে তথ্য কি তবে দুষ্কৃতীদের এলাকারই কেউ দিয়েছে, তা ভাবাচ্ছে পুলিসকে।


আরও পড়ুন: 'মাথা কেটে ফুটবল খেলা', সোদপুরে নিজের পিস্তলের গুলিতেই খুন সেই রাময়া


রামুয়া মূলত হাওড়ার এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী।  শিবপুর ও হাওড়ায় তোলাবাজিতে অভিযুক্ত সে। রামুয়ার বিরুদ্ধে রয়েছে খুন তোলাবাজি সহ একাধিক মামলা রয়েছে। কয়েকবছর এক যুবকের মাথা কেটে খুন করে ‘ফুটবল’ বানিয়ে খেলেছিল রামুয়া। এরপর থেকেই এলাকার ত্রাস হয়ে ওঠে এই কুখ্যাত দুষ্কৃতী। জমি সংক্রান্ত ব্যবসায় তোলাবাজি নিয়ে রীতিমতো সিন্ডিকেট চালাত এই অপরাধী। রামুয়ার ভয়ে কাঁপত এলাকার প্রোমোটাররা। সেই রামুয়া গত ১৬ নভেম্বর জেল থেকে ছাড়া পায়। তারপর সোদপুর এসে থাকতে শুরু করে।


আরও পড়ুন: এক যুবকের মাথা কেটে ফুটবল খেলেছিল নিহত রামুয়া, সোদপুর শুটআউটকাণ্ডে ভয়ঙ্কর তথ্য


প্রশ্ন, কুখ্যাত রামুয়া কেন সোদপুরে এসে থাকতে শুরু করল?


সোদপুরের অমরাবতী অত্যন্ত অভিজাত এলাকা। সম্প্রতি একাধিক আবাসন তৈরি হয়েছে সেখানে। অভিজাত এলাকায় কাদের বাড়ি কে এলেন, বা কোনও ফ্ল্যাটে কী ঘটল, তাতে কেউই উত্সাহ দেখান না। সম্ভবত নিজেকে লোকানোর জন্য সোদপুরের অমরাবতী এলাকাই বেছে নিয়েছিল দক্ষিণ ভারতীয় রামমূর্তি দিয়ার ওরফে রামুয়া। দক্ষিণায়নের গলির একেবারের শেষবাড়ির তিনতলায় গা ঢাকা দিয়েছিল সে। নতুন ভাড়াটে আসার পর থানাতেও কিছু জানাননি বাড়িওয়ালা। রামুয়া কে বা কারা সোদপুরের এই এলাকায় ঠিকানা বলে দিল, সেটাও ভাবাচ্ছে পুলিসকে।