ওদের কংগ্রেসের হাত ছাড়তে কে বলেছিল কে জানে? বামেদের কটাক্ষ সোমেনের
সূর্যের এই বার্তার মঙ্গলবার সদর্থক জবাব দিলেন সোমেন মিত্র। এদিন তিনি বলেন, `ওদেক কে আমাদের হাত ছাড়তে বলেছিল কে জানে? যাই হোক এখন শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে।`
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা নির্বাচন যত এগোচ্ছে ততই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। বিজেপির উত্থানের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের সমীকরণ চলছে জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। ক্ষয়িষ্ণু বাম ও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়া কংগ্রেসের দিকেও নজর রয়েছে সবার। ভোট কাটাকাটির সমীকরণে কি শেষ পর্যন্ত বিজেপির যাত্রাভঙ্গ করতে পারবে বাম-কংগ্রেস?
নানা জল্পনার মধ্যেই সোমবার সিবিআইয়ের অভ্যন্তরে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে আয়োজিত সভায় কংগ্রেসের উদ্দেশে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে সেই বার্তায় সদর্থক সাড়া দিলেন নবনিযুক্ত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র।
“রথের সামনে চাপা পড়বে উন্নয়ন”, অনুব্রতকে পাল্টা কটাক্ষ লকেটের
পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দিকে ইঙ্গিত করে সোমবার সূর্য বলেন, 'যেখানে বামেরা শক্তিশালী সেখানে তো সমস্যা নেই। যেখানে বামেদের শক্তি কম সেখানে কাকে ভোট দিতে হবে তা নিয়ে বেশি বাক্যব্যায়ের দরকার নেই। সেখানে বিজেপিকে রুখতে কংগ্রেসকেই ভোট দিতে হবে।'
সূর্যের এই বার্তার মঙ্গলবার সদর্থক জবাব দিলেন সোমেন মিত্র। এদিন তিনি বলেন, 'ওদেক কে আমাদের হাত ছাড়তে বলেছিল কে জানে? যাই হোক এখন শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে।'
ক্রেতা সেজে ফাঁদ সিআইডির, সোনা পাচার চক্রে রাজস্থান থেকে ধৃত ২
সোমেন মিত্রের এই বক্তব্যের তাত্পর্য খুঁজছে রাজনৈতিক মহল। গত মাসেই দিল্লির নির্দেশে অধীর চৌধুরীর চেয়ারে বসেছে সোমেন। তখন জল্পনা ছিল, লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতার দরজা খুলতেই অধীরকে সরিয়েছে হাইকম্যান্ড। কিন্তু সভাপতি হওয়ার পর থেকে নানা বক্তব্যে সোমেন মিত্রকেও বামেদের দিকে ঝোঁকাই মনে হয়েছে। এদিনের বক্তব্যে তা আরও স্পষ্ট হল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।