নিজস্ব প্রতিবেদন: স্বামীর বন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। সেকথা জানতে পেরে গিয়েছিলেন স্বামী। স্ত্রী ও বন্ধুকে একাধিকবার সচেতন করেছিলেন তিনি। কিন্তু কাজ হয়নি কিছুই। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ‘কাঁটা’ স্বামীকে সরাতেই খুন। সোনারপুরে চৌহাটিতে ব্যবসায়ী কমল বৈদ্য খুনের ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অনুপম বৈদ্য নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তবে এখনও পর্যন্ত ফেরার মূল অভিযুক্ত মিঠুন রায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: রাতভর নিখোঁজ, সকালে কালভার্টের পাশে মিলল ব্যবসায়ীর নলিকাটা দেহ


সোনারপুরের চৌহাটি এলাকার বাসিন্দা কমল বৈদ্যের ঘনিষ্ঠ বন্ধুছিল মিঠুন। সেই সুবাদে কমলের বাড়িতে যাতায়াত ছিল মিঠুনের ।  সেখান থেকেই কমলের স্ত্রীর সঙ্গে  সম্পর্ক তৈরি হয় মিঠুনের।  কমলের পরিবারের সদস্যরা একবার তাদের ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ধরেও ফেলেন। পরিবারের সম্মানহানির ভয়ে তাঁরা তখনকার মতো বিষয়টি মিটিয়ে নেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ,  পাড়ার বৌদিদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি নেশা ছিল মিঠুনের।


আরও পড়ুন, তিন বছরের শিশুকে নৃশংসভাবে খুন কাকিমার, ব্যাগে মিলল রক্তাক্ত দেহ


ধৃত অনুপম পুলিসি জেরায় কবুল করেছে , এই খুনে মিঠুনই তাকে জড়ায়।  মিঠুনের সঙ্গে সে কাজ করত। ঘটনার দিন  মিঠুন তাকে ডেকে পাঠায়।  সে গিয়ে এই ঘটনা দেখতে পায়।  ঘটনার পর থেকেই পলাতক মূল অভিযুক্ত মিঠুন।  তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।


প্রসঙ্গত,  শনিবার সকালে চৌহাটি বাইপাস এলাকা থেকে উদ্ধার হয় কমল বৈদ্যের গলার নলিকাটা দেহ। শুক্রবার  রাত সাড়ে দশটা নাগাদ তিনি তাঁর মাকে ফোন করে বাড়ি ফেরার কথা জানান। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত্রি দেড়টার সময়েও কমল ও মিঠুনের মধ্যে ফোনে কথাবার্তা হয়।  তারপরেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান পুলিসের । এই বিষয়ে কমলের দাদা রাতেই মিঠুনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা জানান মিঠুন বাড়িতেই ঘুমোচ্ছে।


মদ খাওয়ানোর পরই কমলকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিস । পরিবারের সদস্যদের দাবি,  বিভিন্ন সময়ে মদ খাওয়ানোর পর কমলকে বেঁহুশ করেই তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে  ঘনিষ্ঠ হত মিঠুন ।  যদিও মিঠুনের সাথে ঘনিষ্ঠতার কথা অস্বীকার করেছেন কমলের স্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, তাঁকে 'দিদি' বলে ডাকত মিঠুন।