অশোক মান্না: রক্তদান শিবিরের জন্য দাবি মতো ২ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে মারধর এবং প্রাণে মারার হুমকির অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলর এবং তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। প্রাণ সংশয়ে পুলিস সুপারের দ্বারস্থ অভিযোগকারী। এক বেসরকারি নার্সিংহোমের মালিক শেখ শইদুল আলির দাবি, গত রবিবার অর্থাৎ ৫ই মার্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের ব্যবস্থাপনায় একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই রক্তদান শিবিরে আসার জন্য ওই বেসরকারি নার্সিংহোমের মালিককেও আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয় পুরোপিতার পক্ষ থেকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Furfura Sharif: ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্য়ান বদল, সরানো হল ফিরহাদ হাকিমকে


নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, আমন্ত্রণপত্র হাতে দেওয়ার পরেই তার কাছ থেকে দু লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। যা দিতে অস্বীকার করেন ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। আর তাতেই বেজায় চটে যান কাউন্সিলর ও তার ভাই। অভিযোগকারীর দাবি, সেই দিন রাতে নার্সিংহোম থেকে বাড়ি ফেরার সময় মদপ্য কাউন্সিলর ও তার ভাই- সহ বেশ কিছু ব্যাক্তি তাকে ঘিরে ধরে মারধর করে। কিন্তু বজবজ থানায় তিনি অভিযোগ জানাতে গেলে থানা জেনারেল ডায়েরি নেয়। তাই অভিযোগকারী ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিসের সুপার ধৃতিমান সরকারের অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।


অভিযোগ পত্রে তৃণমূল কাউন্সিলর শেখ লুৎফর হোসেন এবং তার ভাই শেখ মুজাফফর হোসেনের নামে দু'লক্ষ টাকা চাওয়া এবং প্রাণ সংশয়ের অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই পুলিস সুপারের নির্দেশে বজবজ থানার পুলিস ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরায় দেখে বুঝতে পারেন মারপিটের ঘটনায় শেখ লুৎফর হোসেনের সেই অর্থে কোন যোগসূত্র নেই। বরং ফুটেজে দেখা গেছে কাউন্সিলার তার ভাইকেই ঘটনাস্থল থেকে বারবার সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।


সমগ্র ঘটনায় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জানান, "২ লক্ষ কেন, দু'টাকা ওনার থেকে চাওয়া হয়েছে এমন প্রমাণ উনি দিতে পারবেন? আমার রক্তদান শিবিরে গুণী ব্যক্তিদের সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে আমার ভাইয়ের পূর্ব পরিচিত ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু তিনি না আসায় আমার ভাইয়ের সঙ্গে ওর কোন প্রকার বচসা বাঁধে, যা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছায়। আমি অফিস থেকে বেরিয়ে ওই মুহূর্তে দুজনকেই ছাড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি আমার ভাইকেই ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার জন্য বলি।"


তৃণমূল কাউন্সিলরের এও দাবি, তিনি বজবজ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালীন ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্যই সম্ভবত তার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ৬ মার্চ নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের করা অভিযোগের ভিত্তিতে বজবজ থানায় একটি জেনারেল ডায়েরি ছাড়া কোনও প্রকার এফআইআর এখনও পর্যন্ত করা হয়নি।



আরও পড়ুন, Bhangar Firing: আরাবুলের 'খেলা হবে' হুমকির পরেই গুলি চলল ভাঙড়ে! আহত তৃণমূলকর্মী...


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)