নিজস্ব প্রতিবেদন: বর্ষা ঢুকলেও দেখা নেই বৃষ্টির। তাতেই নাজেহাল দশা দক্ষিণবঙ্গবাসীর। আষাঢ়ের প্রথম দিনে ইদের আনন্দের মধ্যেই চোখ রাঙাচ্ছে সূর্য। সঙ্গে চোখ রাঙাচ্ছে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস। আবহবিদদের মতে আগামী ৭২ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে তৈরি হতে পারে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পূর্বাভাস অনুসারে, সপ্তাহের শেষে পশ্চিমের জেলাগুলিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াতে পারে। কিছু জায়গায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রির গণ্ডি ছাড়াতে পারে বলে অনুমান। বিশেষ করে বাঁকুড়া জেলায় পরিস্থিতি হতে পারে সব থেকে ভয়াবহ। তাপমাত্রার দোসর হতে পারে অস্বস্তিকর আপেক্ষিক আর্দ্রতা। সব মিলিয়ে অসহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে পথে ঘাটে। 


পশ্চিমের পাশাপাশি তাপপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলিতেও। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আসেপাশে থাকতে পারে অনুমান। কপাল ভাল থাকলে স্থানীয়ভাবে বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চারের ফলে কয়েক পশলা বৃষ্টি হতে পারে। তবে তাতে স্থায়ী স্বস্তির সম্ভাবনা কম। 


ফের বাড়তে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতন?


আবহবিদরা বলছেন, বঙ্গে বর্ষা ঢুকলেও মৌসুমি বায়ু খুবই দুর্বল। তার ওপরে নিম্নচাপ অক্ষরেখা দক্ষিণবঙ্গ থেকে সরে অবস্থান করছে উত্তরে। যার ফলে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমান কমেছে। আগামী ২০ জুনের পর দক্ষিণবঙ্গে ফের বৃষ্টিপাতের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে অনুমান। 


চিকিত্সকরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে দিনের বেলা যত কম বাড়ির বাইরে বেরোনো যায় ততই ভাল। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের পথে না বেরোনোই ভাল। প্রচুর জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা। দিনে অন্তত ৩ লিটার জল খাওয়ার নিদান তাঁদের। এছাড়া বাড়তি পরিশ্রমের কাজ এ ক'দিন এড়িয়ে চলাই ভাল। পরতে হবে হালকা পোশাক।