নিজস্ব প্রতিবেদন : দলীয় বৈঠকে ফের গরহাজির শোভন চট্টোপাধ্যায়। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে নির্বাচনী প্রচারের রূপরেখা তৈরি করতে বৃহস্পতিবার বৈঠক ডাকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল। কিন্তু সেই বৈঠকেই অনুপস্থিত থেকে জল্পনা বাড়ালেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রতি নির্বাচনেই তাঁর উপর গুরু দায়িত্ব ন্যস্ত হয়। এবার পঞ্চায়েত ভোটেও জেলা সভাপতির দিকেই তাকিয়ে দল। তাঁর নির্দেশ অনুসারে নির্বাচনী বৈতরণী কীভাবে পার হওয়া যায়, তার রূপরেখা তৈরি হওয়ার কথা। কিন্তু এদিন বৈঠক-ই 'এড়িয়ে গেলেন' শোভন চট্টোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন, "একজন মেয়র-মন্ত্রীর এত টাকা কোথা থেকে আসছে?" বিস্ফোরক প্রশ্ন রত্নার


দলীয় সূত্রে খবর, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সকল বিধায়ক। সেইসঙ্গে পঞ্চায়েতের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীরা। বৈঠকে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু তৃণমূলের বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠকে অনুপস্থিতির পর এদিন জেলার দলীয় বৈঠকেও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।


দলের অন্দরের কানাঘুষোয় শোনা গিয়েছিল, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নাকি দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সভাপতির দায়িত্ব থেকে সরানো হতে পারে। ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েনে দলীয় ও প্রশাসনিক দায়িত্বের প্রতি ঔদাসীন্য চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে, এমনটাই মনে করছে শীর্ষ নেতৃত্ব।


আরও পড়ুন, তৃণমূলের সঙ্গে মেয়র শোভনের বিচ্ছেদ এখন সময়ের অপেক্ষা


যদিও ২৪ ঘণ্টার মুখোমুখি হয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতোই তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তারপরেও এদিনের বৈঠকে তাঁর অনুপস্থিতি ঘিরে প্রশ্ন ওঠে। যদিও শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অসুস্থতার কারণেই এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি তিনি।


আরও পড়ুন, বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? কী বললেন শোভন চট্টোপাধ্যায়