নিজস্ব প্রতিবেদন : দরজার ফাঁক দিয়ে একঝলক দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় সেই ছবি ধরা পড়তেই শুরু হয়ে যায় জোর চাঞ্চল্য। তবে কি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন রায়দিঘির বিধায়ক দেবশ্রী রায়? উস্কে ওঠে জল্পনা। দেবশ্রী রায়ের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত 'নাটক' চলে। শেষপর্যন্ত বিজেপিতে যোগদান করেন শুধু শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


সূত্রে খবর, দেবশ্রী রায় বিজেপি অফিসে এসেছেন শুনেই বেঁকে বসে শোভন। সাফ জানিয়ে দেন, দেবশ্রী যোগ দিলে, তিনি যোগ দেবেন না। দেবশ্রীর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেবেন না তিনি। সেইসময় বিজেপি সদর দফতরের দোতলায় আলাদা ঘরে বসেছিলেন দেবশ্রী রায়। এই নিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নাটক চলে বিজেপি সদর দফতরে। এই নিয়ে কথাবার্তায় কিছুটা সময় পেরিয়ে যায়। যারফলে প্রেস কনফারেন্স শুরু হতেও কিছুটা দেরি হয়ে যায়। শেষপর্যন্ত ৫টায় শুরু হয় সাংবাদিক সম্মেলন।


এদিকে দেবশ্রীকে দেখে শোভন চট্টোপাধ্যায় যখন বিজেপিতে যোগদানে 'বেঁকে বসেছেন', তখন তাঁকে অনেক বুঝিয়েসুঝিয়ে 'আশ্বস্ত' করেন মুকুল রায়। পরে মুকুল রায় দাবি করেন, "দেবশ্রী কার সঙ্গে কথা বলে এসেছেন জানি না।" উল্লেখ্য, আজ দুপুরে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কার্যত একসঙ্গেই বিজেপি সদর দফতরে ঢুকতে দেখা যায় দেবশ্রী রায়কে।  আর তারপরই বিজেপিতে যোগদান নিয়ে উসকে ওঠে জল্পনা।


আরও পড়ুন, বিজেপিতে যোগ দিলেন শোভন, মুকুলের পা ছুঁয়ে প্রণাম বৈশাখীর


প্রসঙ্গত, একসময় দেবশ্রী রায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। দেবশ্রী রায় বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এক সময়ে রায়দিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের 'দেখভালের দায়িত্ব' পান শোভন। কিন্তু পরবর্তীতে দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। দূরত্ব বাড়তেই সেই দায়িত্ব অস্বীকার করেন শোভনবাবু।