বাসুদেব চট্টোপাধ্য়ায়: ভাইফোঁটায় বিশেষ আয়োজন হল আসানসোল জেলে। বিশেষ এই দিনে কয়েদিদের জন্যও করা হল বিশেষ খাবার ব্যবস্থা। এদিন আসানসোল জেলে ভিড় করেন কয়েদিদের আত্মীয়রা। অনেকেই তাদের ভাইকে ফোঁটা দেন। তবে জেল কর্তৃপক্ষ এদিন বন্দিদের জন্য ব্যবস্থা করেছিল বিশেষ মেনু-র। এই জেলেই রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। একাধিক ক্রনিক অসুখে আক্রান্ত অনুব্রত কি সেই খাবার খেলেন? জেল সুত্রে খবর, ভাইফোঁটার দিন দুপুরে বন্দিদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল ফ্রায়েড রাইস, মুরগির মাংস, মিষ্টি, চাটনি, পাঁপড়, দই, রসগোল্লা। যারা মাংস খায় না তাদের জন্য ছিল পনীর, সবজি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-শুনানির আগে খুঁটিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, অনেকটাই কমল 'হেভিওয়েট' অনুব্রতর ওজন


আসানসোল সংশোধনাগার সূত্রে খবর, কালীপুজোর দিনই স্পেশাল মেনুর আয়োজন করে জেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বন্দিদের অনেকই জানান, ওইদিন তারা উপোস করেছেন। তাই বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয় আজ ভাইফোঁটার দিন। জেল সূত্রে খবর, অনেক রকম খাবার থাকলেও অনুব্রত খেয়েছেন বেশ সাবধানে। ফ্রয়েড রাইসে খেয়েছেন খুব অল্প, চিকেন একচুখানি, পনীর-সবজি খেয়েছেন সামান্য। এছাড়া মিষ্টি, পাঁপড়, চাটিনিও খেয়েছে অল্প করে। কিন্তু জানা যাচ্ছে আজ কেউ অনুব্রতকে ফোঁটা দিতে আসেননি। 


উল্লেখ্য, খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে কিছুটা সাবধানেই রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। জেলে এই ক'দিনে ওজনও কমেছে তার। সোমবার তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় আসানসোল জেলা হাসপাতালে। সেখানে দেখা যায় তার ওজন কমেছে ৯ কেজি। এখন তিনি পুরো একশো। রুটিন চেকআপের জন্যই অনুব্রতকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। প্রায় এক ঘন্টা ধরে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন জেলা হাসপাতালে চিকিৎসকরা। তেমন গুরুতর কিছু ধরা পড়েনি। 


অন্যদিকে আসানসোল সংশোধনাগারের বিচারাধীন বন্দিদেরকে ভাইফোঁটা দিতে দেখা যায় অনেককেই। বোনেদেরকে ভাইফোঁটার দিন হাতে মিষ্টি পায়েশ চন্দন নিয়ে জেলে দেখা করতে আসতে দেখা যায় বোনেদের। বোনেরা নিজের ভাইকে জেলের মধ্যেই ভিসিটর্স রূমে ভাইফোঁটা দেন। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলকে এদিন কেউ ভাই ফোঁটা দিলেন না।


জামুরিয়া থেকে জেলে দাদাকে ভাইফোঁটা দিতে এসেছিলেন সুলেখা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন গত ২ বছর ধরে ভাইফোঁটার দিনে আসছি। এবারও এসেছিলাম পায়েস, কালাকাঁদ, মালপোয়া, বাড়িতে তৈরি নারকেল নাড়ু নিয়ে এসেছিলাম। দাদা আশীর্বাদ করলেন। 


চিত্তরঞ্জন থেকে এসেছিলেন শৈবা নাথ। তিনি বলেন, আমরা ৬ বোন মিলে ভাইকে ফোঁটা দিতে এসেছিলাম। আগে একদিন এসে ফোটা দেওয়ার অনুমতি নিয়ে গিয়েছিলাম। আজ ভাইয়ের জন্য লুচি, পায়েস, ঘুগনি নিয়ে এসেছিলাম। ফোঁটা দিয়ে ভাইকে জামাকাপড় দিলাম।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)