নিজস্ব প্রতিবেদন : রীতিমতো সিনেমার চিত্রনাট্য! পরিকল্পনা করে পুলিসের হাত থেকে খুনে অভিযুক্ত অফিসারকে ছিনিয়ে নিয়ে পালাল এসএসবি জওয়ানরা। এদিন সরিষা শুটআউট কাণ্ডে অভিযুক্ত অফিসারকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথেই ঘটে ঘটনাটি। পরে এসএসবি কর্তাদের সঙ্গে রাজ্য পুলিসের দফায় দফায় আলোচনার পর আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত অফিসার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার সরিষার প্রিন্স মার্কেটের ভিতরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আলতাব জমাদার নামে এক ব্যক্তির। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় এসএসবি জওয়ান অমিত প্রামাণিক ও এসএসবি অফিসার ডিকে সিংকে। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার প্রিন্স মার্কেটের ভিতর জাল নোট লেনদেন  চলছিল। সেইসময়ই ওখানে হানা দেন দু'জন। বচসা শুরু হতেই গুলি চালিয়ে দেন তাঁরা। এসএসবি লেফটান্যান্ট কর্নেল ডি কে সিংয়ের গুলিতে মৃত্যু হয় আলতাব জমাদারের। খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবারই গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত ডি কে সিংকে।


এরপর এদিন ধৃত জওয়ান ও অফিসারকে আদালতে পেশ করতে নিয়ে যাওয়ার সময়ই পুলিসকে ধোঁকা দিয়ে চম্পট দেন ডি কে সিং। অভিযোগ, রীতিমতো পরিকল্পনা করেই তাদের অফিসারকে পালাতে সাহায্য করে এসএসবি। আগে থেকেই ডায়মন্ডহারবার থানার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল এসএসবি জওয়ানদের দুটি গাড়ি। থানার মধ্যেই পুলিসের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি বাধে ধৃত অফিসার ডি কে সিংয়ের। এরপরই থানার বাইরে বেরিয়ে এসে দৌড়ে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এসএসবি জওয়ানদের গাড়িতে উঠে পড়েন তিনি। তাঁকে নিয়ে চম্পট দেয় গাড়ি। এদিকে পুলিসকর্মীরা পলাতক অফিসারকে ধরার চেষ্টা করলে তাদের বাধা দেন এসএসবি জওয়ানরা। এসএসবি জওয়ানদের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি বাধে পুলিসের।



কাছেই পারুল এসএসবি ক্যাম্পে আশ্রয় নেন পলাতক আধিকারিক। তাঁকে ধাওয়া করে ক্যাম্পে পৌঁছয় ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিসও। কিন্তু অভিযোগ, ক্যাম্পের ভিতর পুলিসকে ঢুকতে বাধা দেন এসএসবি জওয়ানরা। এরপরই এসএসবি আইজি-কে ফোন করেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা অনুজ শর্মা। এসএসবি কর্তাদের হস্তক্ষেপে ক্যাম্পের বাইরে বেরিয়ে এসে অবশেষে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত অফিসার ডি কে সিং।


আরও পড়ুন, যানজট কাটাতে বিমানবন্দর ১ নম্বর থেকে আড়াই নম্বর প‌র্যন্ত তৈরি হবে উড়ালপুল



এসএসবি-র এহেন আচরণে চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। এসএসবি এভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।" নবান্নের হস্তক্ষেপের পরই তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন এসএসবি আইজি। তিনি জানান, কে বা কারা অভিযুক্ত অফিসারকে পালাতে সাহায্য করে, তা জানতে ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।