সোমা মাইতি: সিবিআইয়ের নজরে বড়ঞা বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তাঁর বাড়িতে তল্লাশির সময় তিনি তাঁর মোবাইল ফেলে দিয়েছেন বাড়ি সংলগ্ন পুকুরে। সেই পুকুর থেকে মোবাইল উদ্ধারেরে চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্তা। এর পাশাপাশি ইডি সূত্রে আরও একটি খবর উঠে আসছে। সেটি হল, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় 'কালেকশন এজেন্ট' হিসেবে কাজ করতেন তৃণমূলের অন্য এক বিধায়ক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-নী গোস্বামীকে ভারতীয় ফুটবলের 'ব্র্যাডম্যান' বললেও, বিশেষ তথ্য গুলিয়ে ফেললেন সানি 


সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই খবরের কোনও সত্যতা নেই বলে দাবি করছেন নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক কানাই মণ্ডল। তাঁর দাবি, এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে আমরা অনেক খবরই দেখছি। সিবিআই-ইডি তদন্ত করছে। তারা তদন্ত করুক আমি চাই। সংবাদমাধ্যমে জেনেছি আমার নামও এতে জড়িয়েছে। এসব সম্পূর্ণ অসত্য অভিযোগ। চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনওরকম দুর্নীতি বা কারও সঙ্গে যোগাযোগ আমাদের নেই।  কোনও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। চিকিত্সা-সহ অন্যান্য বহু কাজের জন্য আমার কাছে আসেন। তবে তার সঙ্গে দুর্নীতির কোনও সম্পর্ক নেই। 


কিন্তু তাঁর নামে টাকা তোলার অভিযোগ উঠছে কী করে? কানাইবাবুর তাবি, তাঁর নাম করে অনেকে টাকা তুলেছে। মিথ্যে বলে টাকা তোলা হয়েছে। যেসব ক্ষেত্রে জানা গিয়েছে সেইসব ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ভাবে তৃণমূল নেতাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। 


এখানেই থেমে থাকেননি কানাই মণ্ডল। মারাত্মক অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। কানাইবাবুর দাবি,  তিনি তৃণমূলে আসার পর চাকরি দেওয়ার জন্য শুভেন্দু ৫ জনের নাম চেয়েছিলেন। যাদের নাম দেওয়া হয়েছিল তাদের চাকরি হয়নি। মেয়ের জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে বলেছিলাম। তার চাকরি হয়নি। সে আজও বেকার। ইডি তদন্ত করতে এলে সহযোগিতা করব। আমার  সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর খবর ছড়ানো হচ্ছে।


নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের ম্যারাথন হানা শাসকদলের বিধায়কের বাড়িতে। মুর্শিদাবাদের কান্দিতে বিধায়কের বাড়িতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে চলেছে রাতভর তল্লাশি অভিযান। বিধায়কের বাড়ির ভিতর এবং বাইরে দফায় দফায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। জীবনকৃষ্ণকে সঙ্গে নিয়েই চলেছে অভিযান। তল্লাশিতে বাড়ির পিছনের জঙ্গল থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে বলে খবর সিবিআই সূত্রে। 


স্থানীয় সূত্রে এও জানা যাচ্ছে, জীবনের বিরুদ্ধে চাকরি করে দেবেন বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পুরনো। ২০১৭-১৮ সাল থেকেই এই চক্রে তিনি যুক্ত বলে মনে করছে সিবিআইয়ের। সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। তল্লাশি করতে বাড়ির পিছনের জঙ্গলে যাওয়া হয়। সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। এমনকী চাকরিপ্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ মুর্শিদাবাদের বড়ঞা আন্দি গ্রামে জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছিল সিবিআই। রাত পেরিয়ে সকালেই বাড়ি ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সকালে আনা হয়েছে নতুন পাম্প। লক্ষ্য দুটি মোবাইল খুঁজে বের করা।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)