নিজস্ব প্রতিবেদন : পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে অনড় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশনের দাবি, সুষ্ঠুভাবে পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনা করতে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো-ই সমসংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই এই মর্মে নবান্নকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে প্রথম থেকেই গররাজি রাজ্য। রাজ্য সরকারের তরফে মৌখিকভাবে কমিশনকে জানানো হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে ৪৬ হাজার বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। ভোটের দিনগুলোতেও এই ৪৬ হাজার বাহিনী-ই মোতায়েন থাকবে।


আরও পড়ুন, নিরপেক্ষভাবে কাজ করুন, দরকারে আমাকে ফোন করুন : রাজ্য নির্বাচন কমিশনার


কিন্তু তাতে আশ্বস্ত নয় কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সাফ বক্তব্য, গত নির্বাচনের তুলনায় এবার রাজ্য পুলিসের সংখ্যা খুব একটা হেরফের হয়নি। অন্যদিকে, ভোটার বা বুথ সংখ্যাও কমেনি। পাশাপাশি, মনোনয়ন পর্বে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি প্রশ্নের মুখে ফেলেছে কমিশনকে। তাই কোনওভাবেই আগেরবারের থেকে আধাসেনার সংখ্যা কম করতে নারাজ কমিশন।


উল্লেখ্য, ২০১৩-র পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় সারা রাজ্যে ৩০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসা বা না আসা সবটাই নির্ভর করছে ২টি জিনিসের উপর। এক, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কমিশনের সঙ্গে রাজ্যের সহমত পোষণ। দুই, আদালতের নির্দেশে ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন।


আরও পড়ুন, এসপি-র সামনেই মনোনয়ন জমা দিচ্ছে মাওবাদীরা, অভিযোগ অনুব্রতর; পাল্টা মুকুলেরও


এখন, প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কমিশনের সঙ্গে সহমত পোষণ করছে না রাজ্য। রাজ্য সরকার বার বারই বুঝিয়ে দিয়েছে যে, তারা ভোটে আধাসেনা চায় না। ফলে এক্ষেত্রে আদালত কী বলে, সেটাই দেখার। প্রসঙ্গত, সোমবারই বিজেপির দায়ের করা একটি মামলার রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টিও রয়েছে।