নিজস্ব প্রতিবেদন: সরকারি সামাজিক প্রকল্পে উপভোক্তাদের তথ‍্যভান্ডার তৈরির সিদ্ধান্ত নিল রাজ‍্য সরকার। এনিয়ে মুখ‍্যমন্ত্রীর দফতরের যুগ্ম সচিবের নির্দেশ পৌঁছেছে সমস্ত দফতরে। বিভিন্ন দফতরের কাছে থাকা তথ্য এক ছাতার তলায় আনতে চায় রাজ্য। এর ফলে কাজের সুবিধা হবে। এর পাশাপাশি তালিকায় থাকা ভুয়ো উপভোক্তাদের খুঁজতেও সুবিধা হবে প্রশাসনের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যজুড়ে একাধিক সামাজিক উন্নয়নের প্রকল্প। কিন্তু সুফল কি পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ? লোকসভা ভোটে রাজ্যে তৃণমূলের ফল পর্যালোচনায় বার বার উঠেছে এই প্রশ্ন । সরব হয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও। এবার সরকারি সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা সত্যিই মানুষ পাচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে নতুন উদ্যোগ নিল রাজ্য। 



কন্যাশ্রী থেকে সবুজ সাথী। ২ টাকা কেজি দরে চাল, বাংলার বাড়ি, কৃষকবন্ধু, যুবশ্রী সহ অসংখ্য সামাজিক প্রকল্প রয়েছে রাজ্য সরকারের। সেই সংক্রান্ত তথ্যও থাকে সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে।  এবার সেই সব তথ্য একত্র করে এক জায়গায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। যাতে হাতের নাগালে থাকে সুবিধাভোগীদের তথ্য। 


রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে কত সুবিধাভোগী জানতে তৈরি হবে তথ্যভাণ্ডার। সুবিধাভোগীদের ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর, ঠিকানা, বয়স, ফোন নম্বর সহ তথ্য এক জায়গায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই তথ্য দ্রুত মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে পাঠাতে বলা হয়েছে বিভিন্ন দফতরকে। আর তা পাঠাতে হবে ৭ দিনের মধ্যে। 


রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর সামাজিক প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু লোকসভা ভোটের ফল সব হিসেব গোলমাল করে দিয়েছে। ক্ষোভ জমেছে দলের নীচুতলার কর্মীদের ওপর। প্রকল্পের লাভের গুড় কারা পেল, আর কারা পেল না তা যাচাই করে দেখতে চায় মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। আর সেই লক্ষ্যেই সুবিধাভোগীদের তথ্যভাণ্ডার তৈরির উদ্যোগ রাজ্যের।  গোটা পরিকল্পনার নেপথ্যে প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্ক রয়েছে বলে মত অনেকের।


বিভিন্ন দফতরের উপভোক্তাদের যা হিসাব এখনো পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে, 


২টাকা কেজি দরে চাল পেয়েছেন- ৮.৫ কোটি।


সবুজ সাথী-১ কোটি।


কন‍্যাশ্রী-৫৬ লক্ষ।


বাংলার বাড়ি-২৫ লক্ষ।


শিক্ষাশ্রী-৭০ লক্ষ। 


এছাড়াও রয়েছে কৃষকবন্ধু, বৈতরণী, যুবশ্রী, রূপশ্রী-সহ রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্প।


রাজ্যে সামাজিক প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে শাসক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কাটমানি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্যান্ডোরার বাক্স খুলে দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দুর্নীতি ঠেকাতে সব তথ্যই নিজের দফতরের আওতায় আনতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।  


আরও পড়ুন- কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর নস্যাৎ করে সাড়ে চার লক্ষ চাকরি দেওয়ার কথা জানাল রেল