`প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাখেননি অমিত শাহ`, গীতা মাহালিকে চাকরির নিয়োগপত্র দিল রাজ্য সরকার
রাজু মাহালি বলেন, `বিজেপি এসে খাওয়াদাওয়া করে গিয়েছে। কিন্তু তারপর আর কোনও খোঁজ নেয়নি আমাদের। আমার স্ত্রী এই চাকরি পাওয়াতে আমি খুব খুশি।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : অমিত শাহ জঙ্গলমহলে সফরে আসতেই ফের আদিবাসী ও মতুয়াদের নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে বিজেপি ও তৃণমূলের অন্দরে। তিন বছর আগে শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়িতে একটি আদিবাসী পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন অমিত শাহ। তাঁদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু অমিত শাহ চলে যাওয়ার পর আর কেউ তাঁদের খোঁজ রাখেননি বলে পরবর্তীতে আক্ষেপ করেছিল সেই মাহালি পরিবার। সেবার অমিত শাহ যাওয়ার পরের দিন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবও গিয়েছিলেন ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। সেদিন গৌতম দেব পাশে থাকার ও চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই বাড়িরই সদস্য গীতা মাহালির হাতে এদিন সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিল রাজ্য সরকার।
এদিন নকশালবাড়ি থানায় গীতা মাহালির হাতে হোমগার্ডের চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। চাকরি পেয়ে খুবই খুশি হন গীতা মাহালি। ওই পরিবারের অপর সদস্য রাজু মাহালি বলেন যে, "বিজেপি এসে খাওয়াদাওয়া করে গিয়েছে। কিন্তু তারপর আর কোনও খোঁজ নেয়নি আমাদের। আমার স্ত্রী এই চাকরি পাওয়াতে আমি খুব খুশি।" এই বিষয়ে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, "অমিত শাহ এই মাহালি আদিবাসী পরিবারের ঘরে উঠেছিলেন। মধ্যাহ্নভোজ করেছিলেন। পাশাপাশি নানারকম প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর না বিজেপি না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেউ-ই এই পরিবারের পাশে দাঁড়াননি। আজকে আরও একবার প্রমাণ হল যে বিজেপি যে ভন্ড রাজনীতি করে। বাংলায় লোক দেখানো রাজনীতি করে।"
একইসঙ্গে রঞ্জন সরকার আরও বলেন, "আজ এই পরিবারের এক সদস্য গীতা মাহালিকে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চাকরি দেওয়া হল। এর থেকে প্রমাণ হল যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন না। তিনি যা বলেন তা করে দেখান।" প্রসঙ্গত, এদিন বাঁকুড়ার চতুরডিহি গ্রামের আদিবাসী পরিবার বিভীষণ হাঁসদার ঘরে মধ্যাহ্নভোজ সারেন অমিত শাহ। যার পুরোটাই 'পলিটিক্যাল স্টান্টবাজি'। ভোট মিটে গেলে বিজেপি তাঁদের আর খোঁজও রাখবে না বলে সুর চড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। উল্লেখ্য, আজই হাওড়ার ট্যান্ডেল বাগানের এক দলিত পরিবার ক্ষোভের সুরে জানান, ২০১৭-তে তত্কালীল রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু তাঁদের ঘরে মধ্য়াহ্নভোজ সেরেছিলেন। কিন্তু তারপর বিজেপির তরফে কেউ-ই আর তাঁদের কোনও খোঁজখবর রাখেননি।
আরও পড়ুন, খেজুরের চাটাইয়ে বসে আদিবাসী রান্নায় তৃপ্তির মধ্যাহ্নভোজ অমিতের, সঙ্গী হলেন দিলীপ-মুকুল
আরও পড়ুন, ভাঙা ঘরে রেলমন্ত্রীকে নিজে হাতে খাইয়ে আদৌ কি অবস্থা ফিরেছিল? নিদারুণ বাস্তব ছবি বলছে অন্য কথা!