সুতপা সেন: রাজ্য়ের সবকটি গ্রাম পঞ্চায়েত ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হবে। কোথাও রাস্তা পুননির্মাণ করা হবে, কোথাও নতুন রাস্তা তৈরি হবে। এমনই মোট ৯ হাজার রাস্তা তৈরি হবে। সেই  প্রকল্প সিঙ্গুর থেকে শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই রাস্তা তৈরি করতে পৌন চার হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। এর এক পয়সাও কেন্দ্রের নয়। সবটাই রাজ্য সরকারের টাকা। মঙ্গলবার সিঙ্গুরে এক অনুষ্ঠানে এমনটাই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-অনুব্রত-সেহগলের আদালতের খরচ জোগাচ্ছে কে! ইডির নজরে এই পাথর ব্যবসায়ী


জিএসটি নিয়ে বারেবারেই সরহ হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেন, জিএসটি হওয়ার পর দিল্লি সব টাকা তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু আমাদের ভুল হয়েছে জিএসটিকে সমর্থন করা। আমরা ভেবেছিলাম এতে রাজ্যের লাভ হবে। এখন দেখছি একশো দিনের চাকা বন্ধ করে দিয়েছে। আবাস য়োজনার টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র কোনও টাতকা না দিলেও একশো দিনের কাজে ২৬ দিনের কাজ করিয়ে দিয়েছি। দশ হাজার ম্যান ডেট তৈরি করেছি।


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে মা-মাটি-মানুষের সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন রাজ্যে রাস্তা ছিল মাত্র ৩০ হাজার কিলোমিটার। সব রাস্তা ঢেউ খেলানো। আমরা আসার পরে রাজ্যে ১ লাক্ষ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করেছি। ক্ষমতায় এসে আমলাসোলে ২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা করেছিলাম। ২০১৮ সালে চারা হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। গ্রামের রাস্তা বড় ট্রাক চলে ভেঙে গিয়েছে। তাদের জন্য বড় রাস্তা রয়েছে। সেখান দিয়ে যাবে।


সিঙ্গুরের অনশনের কথা টেনে আনলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, সিঙ্গুরের জমি ফেরতের জন্য ২৬ দিন অনশন করছিলাম। মানুষ জমি ফেরত পেয়েছেন। জমি অধিগ্রহণ আইনই বদল গিয়েছে। ৯৯৭ একর অধিগৃহীত জমির মধ্যে ৮০০ একর চাষযোগ্য। ২০১৬ সালে থেকে ৪৩৪ একর জমিতে চাষ হচ্ছে। চাষের জন্য টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। যে ২৫০ একর জমি পড়ে রয়েছে সেইসব নীচু জমিকে চাষের উপযোগী করার জন্য মাটিভরাট করা হবে। ওই কাজে লোকাল ছেলে মেয়েদের কাজ দেওয়া হবে। লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে মমতা বলেন, বুথে বুথে ক্যাম্প হবে। দয়াকরে যাবেন, নামটা লিখিয়ে আসবেন। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)