নিজস্ব প্রতিবেদন: মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের জেরে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য পরিবহণ দফতর। রাজ্যে ২০ চাকার লরি ঢোকা আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হল। মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করার পরই এই ঘোষণা করল পরিবহণ দফতর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্য সরকারের ওই ঘোষণার পর কলকাতা বন্দরকে বিষয়টি চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিল কলকাতা পুলিস। বন্দরে ২০ চাকার লরি ঢুকতে না পারলে পণ্য চলাচলে প্রবল সমস্যা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়বে না বলেই মনে করছে রাজ্যসরকার। কারণ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বড় ট্রাকে আসে না। ফলে বাড়বে না সবজি, মাছ,ডিম,ফল,ওষুধের দাম। ছোট যন্ত্রপাতি, শিল্পসামগ্রী সরবরাহে সমস্যা হবে না। কারণ তা আসে ছোট গাড়িতে। ২০ চাকার গাড়ি নিষিদ্ধ করার সুযোগ নিয়ে কেউ অসাধু উপায়ে ফয়দা তোলার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধ কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিল নবান্ন।


আরও পড়ুন-কীর্তনে মজেছে মন, এবার 'কেষ্টদা'র খোল-করতাল রাজনীতি  


কোন ধরনের গাড়ি চলবে?  জানা যাচ্ছে চলাচল করতে পারবে ২০ ফুটের কন্টেনার(১০ চাকার ট্রাক/ট্রেলার),  ৩০ ফুটের কন্টেনার( ১৪-১৮ চাকার ট্রেলার) অন্যদিকে, চলবে না ৪০ ফুটে কন্টেনার বা ২০ চাকার ট্রেলার। এই ধরনের ট্রাক রাজ্য়ে চলে ১-২ শতাংশ।


বড় গাড়ি নিষিদ্ধ করার ফলে তার প্রভাব পড়বে বড় ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, টিভি, ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদি আসার ক্ষেত্রে। প্রভাব পড়বে পোশাক, তৈরি জামাকাপড়, বড় বড় ক্রীড়া সরঞ্জাম, জিমের যন্ত্রপাতি, স্ক্র্যাপ মেটাল, ভারী শিল্প-সরঞ্জাম, নির্মাণ সামগ্রী, কয়লা, গাড়ি, বাইক আসার ক্ষেত্রে।


আরও পড়ুন-মাঝেরহাট ব্রিজের অবস্থা ভাল নয়, চিঠি দিয়ে রাজ্য সরকারকে জানিয়েছিল রেল


এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়বে নেপালেও। কলকাতা বন্দর হয়ে ভারত থেকে নেপালে পণ্য সরবরাহ হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, ভারত ও অন্যান্য দেশের পণ্য কলকাতা বন্দর হয়েই নেপালে পৌঁছায়। নেপালে যায় ইমারতি দ্রব্য, বনস্পতি ঘি, তেল, কয়লা, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী,  গাড়ি, চিনি, প্রতিদিনের ব্যবহার্য সামগ্রী। ফলে একটা ধাক্কা খেতে পারে নেপাল। উল্লেখ্য, প্রতি সপ্তাহে ৪০০-৬০০ কন্টেনার নেপালে যায়। গত বছর নেপালে গিয়েছিল ৮০ হাজার কন্টেনার।