জিএসটি ক্ষতিপূরণ না পেলে কেন্দ্রের ওপরে রাজ্যগুলির ভরসাই চলে যাবে, মোদীকে চিঠি মমতার
মমতার অভিযোগ, `গত ১৪ মার্চ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন জিএসটি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কিন্তু এখনও পর্য্নত তা দেওয়া হয়নি
নিজস্ব প্রতিবেদন: জিএসটির ক্ষতিপূরণ না দেওয়ার ফলে রাজ্যগুলি কেন্দ্রের প্রতি বিশ্বাস হারাচ্ছে। পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রের কাছ থেকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ আদায়ের ব্যাপারে বহুদিন ধরেই সরব মমতা। এমনকি দেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী করোনা নিয়ে বৈঠকেও কথাটা পেড়েছিলেন মমতা। এবার চিঠি লিখেও এনিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-অক্টোবরে পরীক্ষা নিলে দেরি হয়ে যাবে, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি JU-এর অধ্যাপক সংগঠনের
করোনা পরিস্থিতিতে আপাতত জিএসটি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার অপারগতার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি রাজ্যগুলিকে ঋণ নিয়ে চালানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের এরকম হাত তুলে দেওয়া নীতির বিরোধিতা করে মমতা লিখেছেন, জিএসটি ক্ষতিপূরণ নিয়ে সরকারের যে মনোভাব তাতে আমি ব্যথিত। এরকম চললে রাজ্য সরকারগুলি কেন্দ্রের ওপরে আস্থা হারাবে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোরও ক্ষতি হবে।
চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, জিএসটি এসে যাওয়ার পর রাজ্যগুলির ৭০ শতাংশ কর আদায়ের ক্ষমতা চলে গিয়েছে। এমনকি ভ্যাটও গিয়েছে। এতকিছু ছাড়ার একটাই শর্ত ছিল, রাজ্যগুলি ৫ বছর জিএসটি ক্ষতিপূরণ পাবে। কিন্তু তা দেওয়া হচ্ছে না। আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আপনি জিএসটির বিরোধিতা করেচিলেন। ২০১৩ সালে প্রয়াত অরুণ জেটলি বলেছিলেন বিজেপির জিএসটি বিরোধিতার একমাত্র কারণ ছিল ক্ষতিপূরণ নিয়ে তত্কালীন কেন্দ্রীয় সরকারকে বিশ্বাস করতে না পারা। এখন আমরা যখন জিএসটি ক্ষততিপূরণ পাচ্ছি না তখন জেটলির সেই কথাগুলোই কানে বাজছে।
আরও পড়ুন-৩ দুষ্কৃতী মিলে যৌন হেনস্থা, ছবি ভাইরাল হতেই আত্মঘাতী নাবালিকা
মমতার অভিযোগ, 'গত ১৪ মার্চ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন জিএসটি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কিন্তু এখনও পর্য্নত তা দেওয়া হয়নি। অনেক রাজ্য কর্মীদের বেতন দিতে পারছে না।' মমতার পরামর্শ কেন্দ্র কম সুদে ধার করতে পারে। সেভাবে ধার নিয়ে রাজ্যগুলিকে টাকা দিক কেন্দ্র।