প্রসেনজিত্ মালাকার: বৈধ কাগজপত্রের দাবিতে সেপ্টেম্বরে ১ তারিখ থেকে সম্পূর্ণভাবে পাথর তোলার কাজ বন্ধ হল বীরভূমের পাচামি-সহ জেলার পাথর খাদানগুলিতে। বীরভূম জেলা পাথর ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে ২০১৬ সালের আগে বীরভূমের প্রায় ২১৭টি পাথর খাদান ছিল বৈধ। কিন্তু পরিবেশ দূষণের কারণ দেখিয়ে মামলা রুজু হয়। নতুন করে জারি করা হয় সার্কুলার। এরপর অবৈধ হয়ে যায় সব খাদান। তাদের কাছে পরিবেশ দপ্তরের বৈধ ছাড়পত্র নেই এমনটাই জানিয়েছে সমিতির সদস্যরা। ২১৭ টি খাদানের মধ্যে বৈধ কাগজপত্র রয়েছে মাত্র ৬ টি খাদানের। সঙ্গে রয়েছে প্রায় ১৫০০ ক্রেসার। যার মধ্যে ৯০ শতাংশ অবৈধ। এখন অবৈধ খাদান আর চালাতে চাইছেন না খাদান মালিকরা। তাদের দাবি, আমাদের নামে মামলা হতে পারে, গ্রেফতার হতে পারি। সে কারণেই আর কাগজপত্র না পাওয়া অব্দি এখন খাদান চালাব না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-অনুব্রত গ্রেফতার হতেই বোলপুরে শুরু জমি আন্দোলন, আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পকে ঘিরে


খাদান বন্ধ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কর্মহীন হয়ে পড়েছে খাদান মালিক, ক্রাসার মালিক, শ্রমিক, গাড়িচালক সবমিলিয়ে প্রায় ১ লক্ষ মানুষ। কর্মহীন হয়ে যাওয়ায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছে সেখানকার কর্মরত শ্রমিকেরা। তারা জানাচ্ছেন দিন আনি দিন খাই শ্রমিক আমরা। রোজ পাথর খাদানে কাজ করি, টাকা পাই। খাদান বন্ধ হয়ে গেলে সংসার চালাতে পারব না আমরা।


অন্যান্য দিনে এই সময় হাজার হাজার মানুষের সমাগম থাকে মহম্মদবাজার ব্লকের অন্তর্গত পাঁচামি পাথর শিল্পে। কিন্তু আজ পরিবেশটা এক্কেবারে অন্যরকম। চারিদিক শুনশান, রাস্তায় সেই সারি সারি পাথর বোঝাই ট্রাকের দেখা নেই। কিন্তু এর মাঝেই প্রশ্ন উঠছে ২০১৬ সালের পর থেকে এই সমস্ত অবৈধ খাদান চলতো রমরমিয়ে। কিছুদিন আগে পর্যন্তও চলেছে খাদান, ক্রাসার গুলি।  কিন্তু, এবার হটাৎ করেই এগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন? স্থানীয় সূত্রে খবর, অনুব্রত মন্ডল গ্রেফতার হয়েই একের পর এক জেলাজুড়ে বেআইনি কাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাই বিতর্ক থেকে বাঁচতেই এবার এই খাদান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)