নিজস্ব প্রতিবেদন: পুকুর থেকে উদ্ধার হল এক পাথরের দেবীমূর্তি। সেই থেকে সেটিকে নিয়ে বিড়ম্বনায় সংশ্লিষ্ট পরিবার। প্রশাসনের হাতে তুলে দিতে চাইছেন তাঁরা। কাটোয়া থানার বেড়াগ্রামের ঘটনা। আপাতত দেবীমূর্তিটি কাটোয়া মহকুমা গ্রন্থাগারের প্রত্নশালায় রাখার  ব্যবস্থা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যে পরিবার ওই মূর্তিটি পেয়েছে, সেই পরিবারের মহিলাদের দাবি, যেদিন থেকে ওই দেবীমূর্তিটিকে ঘরে তোলা হয়েছে সেদিন থেকেই তাঁদের বাড়িতে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। যদিও তাঁরা মূর্তিটিকে চণ্ডীর (chandi) রূপ ধরে নিয়ে এর পুজোও করেছেন। তবে এখন তাঁরা তাই এ নিয়ে আতঙ্কিত। গত প্রায় আড়াই মাসে ধরে পরিবারটির অনেক ক্ষতি হয়েছে বলে এখন তাঁরা চাইছেন, প্রশাসনিক প্রতিনিধিরা মূর্তিটি নিয়ে যান।


আরও পড়ুন: ১০ জুন থেকে আগামী পাঁচদিন সতর্কতা জারি দিঘায়


সে না হয় হল। কিন্তু মূর্তিটি কীসের? কী বৃত্তান্ত তার? 


স্থানীয় গবেষকদের দাবি, দেবীমূর্তিটি বৌদ্ধতন্ত্রের (buddhist) দেবী মারীচ। কাটোয়ার দাঁইহাট ও  বেড়াগ্রাম অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় একসময় বৌদ্ধ সংস্কৃতির রমরমা ছিল। এই এলাকায় একসময় প্রচুর বৌদ্ধ  উপাসক ছিলেন। বৌদ্ধ সংস্কৃতির ছাপ এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে এ অঞ্চলে। যে-পুকুর থেকে মূর্তিটি পাওয়া গিয়েছে সেখানেও মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ দেখা গিয়েছে। 


ঘটনার শুরু ২৫ মার্চ বিকেলে। পুকুর খননের কাজ চলছিল। হঠাৎ  মাটির ভিতর  থেকে  প্রায় সাড়ে তিন ফুট লম্বা দু'ফুট চওড়া একটি  পাথরের মূর্তি উঠে আসে। রাতের দিকে কাদা-মাখা প্রস্তরমূর্তি পরিষ্কার করে পুকুরের মালিক দিলীপ ঘোষের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে দেবীমূর্তি উদ্ধারের ঘটনা চাউর হতেই দিলীপের বাড়িতে উৎসুক মানুষের জমায়েত বাড়তে থাকে। গ্রামবাসীদের উৎসাহে দিলীপের বাড়িতেই মূর্তিটির ঠাঁই হয়। এবং গ্রামবাসীদের দাবিতেই দিলীপবাবুরা দেবীচণ্ডী হিসেবে মূর্তিটির পুজো শুরু করেন। তার পর থেকেই তাঁদের বাড়িতে বজ্রপাত, প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ইত্যাদি নানা অঘটন ঘটেছে বলে দাবি দিলীপবাবুদের। তাঁরা দেবীমূর্তিটি তাই আর বাড়িতে রাখতে চাইছেন না। 


কাটোয়া (katwa) মহকুমা প্রশাসনের পক্ষে বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ঘটনার কথা শুনেছি। মূল্যবান দেবী মারীচের এই মূর্তি  আমরা আপাতত  মহকুমা গ্রন্থাগারের  প্রত্নশালায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। 


স্থানীয় ইতিহাস গবেষক অশেষ কয়াল বলেন, বৌদ্ধতন্ত্রের দেবী মারীচের মূর্তি যদি কাটোয়ায়  থাকে, তা হলে ভালোই হয়। এলাকার মানুষ স্থানীয় প্রাচীন ইতিহাস সম্বন্ধে আগ্রহী হবেন। তাঁরা মূর্তিটি দেখতেও পারবেন।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 


আরও পড়ুন: সবুজ গ্রামকে ছুঁতে পারেনি করোনার থাবা, ভাইরাসহীন মুক্ত বাতাস সদা বহমান