নিজস্ব প্রতিনিধি : ফিরল স্টোনম্যান আতঙ্ক। হাওড়ার গ্র্যান্ড ফোরশোর রোডে গঙ্গাতীরে থেঁতলে খুন করা হল এক ফুটপাথবাসীকে। ভোররাতের হত্যা বলছে পুলিস। নিরীহ ফুটপাথবাসীর সঙ্গে কার শত্রুতা? কে করল খুন? সূত্র খুঁজছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সূর্য ডুবলেই সে জেগে ওঠে। বুকভরা জিঘাংসা নিয়ে হেঁটে বেড়ায় অন্ধকার অলিগলিতে। কে জানে, কোথায় অরক্ষিত রয়েছে শিকার? সদ্যই সৌন্দর্যায়িত হয়েছে হাওড়ার গঙ্গাতীর। ভোর সাড়ে পাঁচটায় হাওয়া খেতে এসে প্রাতর্ভ্রমণকারীরা দেখলেন সেখানে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন এক ব্যক্তি। মুখটা এমনভাবে থেঁতলে গেছে যে শনাক্ত করার উপায় নেই। তবে এই ফুটপাথবাসীকে সকলেই চিনতেন। রাত সাড়ে তিনটে পর্যন্ত তাঁকে চলে ফিরে বেড়াতে দেখেছেন এলাকাবাসী।


আরও পড়ুন- ব্যর্থ ডাকাতির চেষ্টা, পুলিসের গাড়ির শব্দে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা


পুলিসের সন্দেহ, ভোররাতে কেউ বা কারা সিমেন্টের স্ল্যাব দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করে এই ফুটপাথবাসীকে। তদন্তের স্বার্থে সিমেন্টের স্ল্যাবটি নিয়ে গিয়েছে পুলিস। সেই সিমেন্টের স্ল্যাবই জন্ম দিচ্ছে একাধিক প্রশ্নের। সিমেন্টের স্ল্যাবের ওজন প্রায় ৫০ কেজি। এতবড় একটি স্ল্যাব তুলে আঘাত করা যার তার পক্ষে সহজ নয়। এছাড়াও রক্ত যত দূরে ছিটকে পড়েছে তা থেকে পরিষ্কার, বেশ জোরের সঙ্গেই স্ল্যাব দিয়ে আঘাত করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে।


এখানেই শেষ নয়, পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, তাত্‍ক্ষণিক বচসা নয়, পরিকল্পনা করেই ঘুমের মধ্যে খুন করা হয়েছে তাঁকে। হত্যাকারী কোনও পুরুষ বলেই ধরে নেওয়া যাচ্ছে। আবার, দুই মহিলাও একসঙ্গে এই কাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারেন। ভোর সাড়ে ৩টে থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত নিকটবর্তী এলাকাগুলির সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। কোথা থেকে ওই জায়গায় এল এতবড় সিমেন্টের স্ল্যাব? এই প্রশ্নও ভাবাচ্ছে পুলিসকে।


গ্র্যান্ড ফোরশোর রোডে রাতভর গাড়ি চলে। ব্যস্ত রাস্তায় পাশে এত অনায়াসে খুন করা সম্ভব? খুনির খোঁজ পেতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে অন্য ফুটপাথবাসী ও উল্টোদিকের বাড়িগুলির বাসিন্দাদের। কিছুদিন আগে একই কায়দায় মাথা থেঁতলে খুন হয় হাওড়ার ব্যাঁটরায়। তারপরে আবার এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বেড়েছে।