Malbazar: একেবারে দিনে-দুপুরেই চলছে নদী চুরি! আর রাতের অন্ধকারে যা ঘটছে...
Malbazar: সকাল হতেই অসংখ্য ট্রাক্টর নামছে লিস নদীতে। সঙ্গে থাকা ট্রলিতে পাথর বোঝাই করে তা মজুত করা হচ্ছে আশপাশের গোপন ডেরায়। সেখান থেকেই পরে রাতের অন্ধকারে তা চড়া দামে পাচার হয়ে যাচ্ছে নির্দিষ্ট গন্তব্যে। সরকারের ঘরে জমা পড়ছে না কোনও কর।
অরূপ বসাক: নদীতে ট্রাক্টর নামিয়ে একেবারে দিন- দুপুরে রিভারবেড থেকে পাথরচুরির কাজ চলছে মাল ব্লকের বাগরাকোটের লিস নদীতে। অভিযোগ, বিষয়টি তথ্যপ্রমাণ-সহ বারবার পুলিস ও প্রশাসনের নজরে আনা হলেও এখনও পর্যন্ত চুরি রুখতে তেমন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। যার জেরে স্থানীয়দের বাধা উপেক্ষা করে দ্বিগুণ উৎসাহে বুক ফুলিয়ে দেদারে লিস রিভারবেড থেকে পাথরচুরির কারবার জারি রেখেছে মাফিয়ারা।
আরও পড়ুন: Malbazar: রাতের অন্ধকারে হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫ বাড়ি...
রিভারবেডে পাথর-মাফিয়াদের এতই দাপট যে, সকাল হতেই তারা অসংখ্য ট্রাক্টর নামিয়ে দিচ্ছে লিস নদীতে। সঙ্গে থাকা ট্রলিতে পাথর বোঝাই করে তা মজুত করা হচ্ছে আশপাশের বিভিন্ন গোপন ডেরায়। সেখান থেকেই পরে রাতের অন্ধকারে তা চড়া দামে পাচার হয়ে যাচ্ছে নির্দিষ্ট গন্তব্যে। সরকারের ঘরে জমা পড়ছে না কোনও কর।
ঘটনা হল,ডুয়ার্সের চেল ও ঘিস নদীতে সরকারিভাবে মাইনিং ব্লক থাকলেও লিস নদীতে এখন সরকারি অনুমতিপ্রাপ্ত মাইনিং ব্লক নেই। ২০১৭ সালে লিস নদীর মাইনিং ব্লক নিলামের জন্য দরপত্র আহ্বান করার পর ঋষভ লাখোটিয়া, নীতু ছেত্রী, লক্ষ্মী সারকি, সুরজ লাখোটিয়া, ভিকি পাল-সহ কয়েকজন ব্যবসায়ী সেই নিলামে অংশগ্রহণ করে সরকারি নিয়ম মেনে রাজস্বের টাকা জমা দিয়েছিলেন। মাঝে কয়েকবছর পেরিয়ে গেলেও তাঁরা মাইনিং ব্লক চালু করার লাইসেন্স এখনও পাননি।
এখন রাজেশ পেরিওয়াল, লক্ষ্মী সারকি, ঋষভ লাখোটিয়া প্রমুখ ব্যবসায়ীর বক্তব্য-- এ বছর বর্ষা পেরোলেই সরকারি ভাবে আমাদের হাতে মাইনিং ব্লকের লাইসেন্স তুলে দেওয়া হবে বলে জানতে পেরেছি। সমস্যা হল, লাইসেন্স হাতে পেলেও এবছর আমাদের হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হবে। কারণ লিস নদীর বেড থেকে যে হারে দিনের পর দিন ট্রাক্টর নামিয়ে পাথরচুরি চলছে তাতে অবশিষ্ট আর কিছুই থাকবে না। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চুরি চলছে এই নদীতে। স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিদিনই এরকম ঘটছে।
আরও পড়ুন: Malbazar: মালবাজারের চা-বাগান থেকে চিতাবাঘের দেহ উদ্ধার...
সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী জেলার সমস্ত রিভারবেড থেকে বর্ষার মরশুমে বালি-পাথর তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। জেলার অনুমোদিত ৮০টি মাইনিং ব্লকেই এই নির্দেশ কার্যকরী হওয়ার কথা। তার পরেও কীভাবে লিস নদী থেকে দিনের পর দিন প্রকাশ্য দিবালোকে পাথর চুরি চলছে? মাইনিং ব্লকের কোনও লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও?সংশ্লিষ্ট মহল থেকে এই সব প্রশ্ন উঠছে।