স্রেফ সন্দেহের বশে ছাত্রকে নির্মম মার শিক্ষক-সহপাঠীদের, মন্ত্রীর তত্পরতায় রক্ষা
মন্ত্রী নিজে ছাত্রটির ওপর হওয়া নির্মম অত্যাচারের নমুনা দেখে, দ্রুত প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। ছাত্রের চিকিত্সার ব্যবস্থা হয়। দত্তপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করানো হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: স্রেফ সন্দেহের বশে ছাত্রকে নির্মম মার শিক্ষক, সহপাঠীদের। মন্ত্রীর তত্পরতায় শেষপর্যন্ত ব্যবস্থা। ঘটনার জেরে উত্তপ্ত, উত্তর চব্বিশ পরগনার দত্তপুকুরের আল হিলাল মিশন।
আরও পড়ুন : পরিবারের উপর পুলিসি নজরদারিই ধরিয়ে দিল ভদ্রেশ্বরে পুরপ্রধান হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্তদের
জয়নগরের বাসিন্দা সোহেল রহমান মোল্লাকে মারধর ঘিরে ঝামেলার সূত্রপাত। সোহেল আল আমিন মিশনে ক্লাস টুয়েলভের ছাত্র। অভিযোগ, এক শিক্ষকের মোবাইল চুরি যাওয়ার ঘটনায় তার দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়। বারবার অস্বীকার করা সত্ত্বেও কেউ এই মেধাবী ছাত্রের কথা কানে তোলেনি। উল্টে এক শিক্ষক ও কয়েকজনক সহপাঠী মিলে চোর অপবাদ দিয়ে সোহেলকে বেধড়ক পেটায় বলে অভিযোগ। কিল, চড়, ঘুষির পাশাপাশি লাঠি-রড দিয়েও মারা হয়।
আরও পড়ুন : সরকারি হাসপাতাল থেকেই গায়েব হয়ে গেলেন মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধা!
খবর পেয়ে সোহেলের মা মিশনে পৌছলে, তাঁকেও আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। শেষপর্যন্ত ওই ছাত্রের বাবা সেখানে গিয়ে স্ত্রী-ছেলেকে উদ্ধার করেন। সুবিচারের আর্জি নিয়ে তিনি রাজ্যের সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা দফতরের মন্ত্রী গিয়াসুদ্দিন মোল্লার দ্বারস্থ হন। মন্ত্রী নিজে ছাত্রটির ওপর হওয়া নির্মম অত্যাচারের নমুনা দেখে, দ্রুত প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। ছাত্রের চিকিত্সার ব্যবস্থা হয়। দত্তপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করানো হয়েছে।