নিজস্ব প্রতিবেদন: জলপাইগুড়ি জেলার সরস্বতীপুর চা বাগানের এক গরীব ঘরের মেয়ে উরশ্রিলা খরিয়া এই বছর অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্ব অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের হয়ে দুবাইতে খেলতে গিয়েছিল। গত ৪ ডিসেম্বর উরশ্রিলা মালবাজারের মহকুমার রাজাডাঙ্গা গ্রামপঞ্চায়েতের ন্যাশনাল হিন্দি হাই স্কুলে পরীক্ষা দিতে আসলে, তাকে অপমান করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রেম সাগর বর্মা। অভিযোগ এমনই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রধান শিক্ষক ওই রাগবী খেলোয়াড়কে বলেন, ‘তুমি কোনও দুবাই টুবাই যাওনি। মিথ্যা কথা বলে স্কুল কামাই করেছ। তোমাকে কোনও পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না। আর এতেই মনমরা হয়ে পড়ে ক্লাস এইটের ওই ছাত্রী। বাড়িতে বসে শুধু কেঁদেই চলেছে সে।’


আরও পড়ুন : চাল ব্যবসায়ীর দুই কর্মীর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা ছিনতাই দুষ্কৃতীদের


উরশ্রিলার কোচ সানু ওড়াও বলেন, ‘যে স্কুলে উরশ্রিলা পড়াশোনা করে, সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, চা বাগানের এই মেয়েটি কোনওমতেই ভারতের হয়ে খেলতে পারে না। আমি বিশ্বাস করি না। স্কুলের কামাইয়ের জন্য ওই ছাত্রীকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি।’


কোচের দাবি, এই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের খেলাধুলোর প্রতি কোনও আগ্রহ না থাকায়, আজ এত বড় খেলোয়াড় হয়েও ৪টি পরীক্ষা দিতে পারল না উরশ্রিলা। ছেলেমেয়েদের প্রতিক্ষা এইভাবেই নষ্ট করছেন ওই শিক্ষক।


আরও পড়ুন : মাদক দ্রব্য বিক্রির প্রতিবাদ, অভিযুক্তরা ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দিল ছাত্রের


এত দূর পৌঁছে গিয়েও হতাশ উরশ্রিলার বাবা পৌউলুস খেরিয়া। তাঁর বক্তব্য, ‘আমার ৫ মেয়ে। ৫ মেয়েই রাগবী ভালো খেলে। কিন্তু গত ৪ তারিখ যা হল আমার মেয়ের সঙ্গে, তা কোনও মতেই মানা যায় না। দেশের জন্য খেলছে, অথচ স্কুলের প্রধান শিক্ষকই জানেন না। তাই মেয়েকে বলেছি পড়াশোনা, খেলাধুলা বন্ধ করে চা বাগানের পাতা তোল।’


প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, এই বছর ক্লাস এইটেই থাকতে হবে উরশ্রিলাকে। কোনও উপায় নেই। তবে, এই ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। মেয়েটি যে দেশের হয়ে খেলতে গিয়েছিল, তা আমার জানা নেই।