Visva Bharati: উপাচার্যকে `বাপ-মা তুলে গালাগালি`! ঘেরাও-বিক্ষোভে উত্তাল বিশ্বভারতী
বিশ্বভারতীতে বেনিয়ম? উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগের দাবি ক্যাম্পাসে তুমুল বিক্ষোভ পড়ুয়াদের।
প্রসেনজিৎ মালাকার: বিশ্বভারতীতে বেনিয়ম? 'প্রতিবাদ করলে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে না'! উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগের দাবিতে এবার বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়ারা। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের হাতাহাতিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ক্যাম্পাস। শেষ খবর অনুযায়ী, সেন্ট্রাল অফিসে উপাচার্যকে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে এখনও।
ফের অশান্ত বিশ্বভারতী। পড়ুয়াদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববিদ্য়ালয়ে অনৈতিক কাজ হচ্ছে। এমনকী, খোদ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীও নাকি বিভিন্ন বেনিয়মের সঙ্গে যুক্ত! যাঁরা প্রতিবাদ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি। স্রেফ পরীক্ষার বসতে না দেওয়া নয়, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পুনরায় ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না পড়ুয়াদের।
কেন এমন পরিস্থিতি? এদিন সকালে বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলতে যান পড়ুয়াদের একাংশ। অভিযোগ, সেন্ট্রাল অফিসের নিরাপত্তারক্ষীরা পড়ুয়াদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। সঙ্গে গুলি চালানোর হুমকি! এরপরই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। শুরু হয় হাতাহাতি! পড়ুয়াদের দাবি, বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগের দাবিতে সেন্ট্রাল অফিস ঘেরাও করে রেখেছেন পড়ুয়ারা। বাইরে বেরোতে পারেননি উপাচার্য।
এদিকে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে পাল্টা খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, 'আমি হেনস্থা হচ্ছি। বাপ-মা তুলে গালগালি করছে! গায়ে হাত দিচ্ছে! মাস্টারমশাই যুক্ত আছে। যা খুশি বলে যাচ্ছে'। উপাচার্যের আক্ষেপ, 'আমার দুঃখ হচ্ছে, রবীন্দ্রনাথের বিশ্ববিদ্যালয়ে এই অসভ্যতা, বাপ-মা তুলে গালাগালি দেওয়া! পুলিসকে খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিস না এলে আমি কী করতে পারি'?
এর আগে, গত বছর পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছিল শান্তিনিকেতন। এরপর আবার দূরদর্শন কেন্দ্রের পাশের রাস্তায় পাঁচিল তুলে দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই পাঁচিলটি ভেঙে দিয়ে ফের যাতায়াত শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার যখন ঘটনাস্থলে গিয়ে ফের পাঁচিল তোলার কথা জানান, তখন ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। উপাচার্যের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে, পাঁচিলে একটি গেট বসিয়ে দেওয়া হবে। ওই গেট দিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন স্থানীয়রা। যদিও সেই আশ্বাসে লাভ হয়নি।