নিজস্ব প্রতিবেদন:  করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে চিনে কার্যত ঘরবন্দি বর্ধমানের যুবক। বর্ধমান শহরের কালিবাজারের যুবক সাম্য কুমার রায় দু'বছরের পোস্ট ডক্টরেট করতে চিনের হুবেই প্রদেশের ওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। গত ২১ জানুয়ারি চিনের উদ্দেশে প্লেনে চাপেন। নামেন ২২ জানুয়ারি। তারপরের দিন থেকেই গোটা চিনে আতঙ্কে ছড়ায় করোনা ভাইরাসের। এখন গোটা চিনের বেশীরভাগ অংশেই করোনা ভাইরাসে কাঁপছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আতঙ্কিত সাম্যর পরিবার। বাবা সুজিত রায় জানান, খুব তাড়াতাড়ি যেন তাঁর ছেলেকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করে সরকার। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও কাছে আবেদন করেন ছেলেকে চিন থেকে দ্রুত ফিরিয়ে আনার জন্য ব্যবস্থা করতে।ফোনে সাম্য রায় জানিয়েছেন, অবস্থা খুবই ভয়াবহ। তিন থেকে সাড়ে তিনশো ভারতীয় ছাত্র ওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়েছে। তার মধ্যে তাঁরা দু'জন বাঙালি। একজনের বাড়ি কলকাতায়। ওখানকার বাজার হাট, প্লেন, ট্রেন চলাচল সবই বন্ধ। তাঁদের ঠিকমত খাবারও জুটছে না। ওখানে পৌঁছানোর পরদিন থেকেই তিনি ঘরবন্দি। ওয়ান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দু'জন ছাত্র করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর আতঙ্ক আরও ছড়িয়ে পড়েছে। 


আরও পড়ুন- বাড়িতেই রমরমিয়ে চলছিল দেহব্যবসা, হাতেনাতে পাকড়াও স্বামী-স্ত্রী


সাম্যর মা ইনা রায় বলেন, ছেলের জন্য তাঁদের বাড়িতে খাওয়াদাওয়া কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। কোন কিছুই খেতে ইচ্ছে করছে না। ছেলে দ্রুত ফিরে আসুক দেশে। সরকার উদ্যোগ নিয়ে তাঁদের ফেরানোর ব্যবস্থা করুক। সাম্য রায় বরাবরই মেধাবী ছাত্র। বেঙ্গালুরু থেকে এমএস এবং পরে কানপুর আইআইটি থেকে পিএইচডি করেন। তারপর দু’বছরের চুক্তিতে চিনের ওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরেট করতে যান ২০১৯ সালে। প্রায় একবছর পর তিনি দেড়মাসের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন বর্ধমানে।