নিজস্ব প্রতিবেদন:  ছিপছিপে চেহারা, শান্ত স্বভাবের, তবে প্রতিবাদী। অন্যায় দেখলে নিজেকে নির্লিপ্ত রাখতে পারতেন না। কলেজে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা বিপদে পড়ে সাহায্য পয়েছেন মাজিদ আনসারির। দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, তবে এই দুই বছরেই অনেকের খুব কাছের হয়ে উঠেছিলেন কোচবিহারের নিহত তৃণমূল ছাত্রনেতা মাজিদ আনসারি। গুলিবিদ্ধ হয়ে দুসপ্তাহ লড়াইয়ের পর বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। কিন্তু অপরাধীরা এখনও ধরা পড়েনি। প্রতিবাদে উত্তাল কোচবিহার কলেজ। পুলিসকে ঘিরে চলছে বিক্ষোভ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: দু’সপ্তাহের লড়াই ব্যর্থ, ফেরানো গেল না তরুণ ছাত্রনেতা মাজিদকে


মঙ্গলবার সকালে মাজিদ আনসারির মৃত্যুর খবর চাউর হতেই ক্ষোভ আছড়ে পড়ে কোচবিহার কলেজে। চলতে থাকে বিক্ষোভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন পুলিসকর্মীরাও। দু সপ্তাহ পরও কেন মাজিদ খুনে মূল অভিযুক্ত মুন্না খানকে  গ্রেফতার করা হল না, সেই প্রশ্নে পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রীরা। এরই মধ্যে এক ছাত্রী ব্লেড দিয়ে হাত কেটে ফেলেন।


আরও পড়ুন: কোচিং না গিয়ে জেরক্সের দোকানের ‘দাদা’র বাড়ি গিয়েছিল ছাত্রী, বাবা-মা খোঁজ পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখল...


 

রক্তাক্ত অবস্থাতেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে, কোচবিহার স্টেশন চৌপথী এলাকায় চলে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ। কোতোয়ালি থানার আইসির নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে|


প্রসঙ্গত, ১৩ জুলাই, বিকাল পৌনে চারটে। কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মাজিদ। কোচবিহার শহরের চৌপথি এলাকায় দুষ্কৃতীরা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পরপর দুটি গুলি করে মাজিদকে। প্রথম গুলি ফস্কে গেলেও, দ্বিতীয় গুলিতে এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে যায় মাজিদের পেট। তারপর থেকে শিলিগুড়ির ওই নার্সিংহোমেই ভর্তি ছিলেন মাজিদ। বৃহস্পতিবার সকালে নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় তাঁর।